ঢাকা: মবের সরকার – মবের নির্বাচন কমিশন। সামনে যেটা নির্বাচন হবে সেটার নামও মব নির্বাচন দেওয়া যেতে পারে অনায়াসে! চারদিকে কেবল মব আর মব।

মবকারীরা যেহেতু ৩০০ আসনে ভাগ হয়ে যাবে, সেহেতু নিশ্চয়ই তারা সুবিধা করতে পারবে না। কিন্তু তারা কি অসুবিধাও তৈরি করতে পারবে না? অথবা মবকারীরা কি একটি নির্দিষ্ট কোনো গ্রুপ?

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একই মবকারীরা মব করে বেড়ায়? তাহলে তারা ৩০০ আসনে ভাগ হলে আসনপ্রতি কতজন পড়বে? প্রশ্ন তো জাগেই সাধারণভাবে।

এইযে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের নির্বাচন একসঙ্গে হলে ‘মবকারীরা’ বিভিন্ন এলাকায় ভাগ হয়ে যাবে, ফলে তারা একত্রে গোলযোগ সৃষ্টি করে সুবিধা করতে পারবে না।

কী অদ্ভুত কথা!

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, “৩০০ আসনে নির্বাচন হলে মবকারীরা নিজ নিজ এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে, একত্রে তাদের পাওয়া যাবে না।”

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি জোরদার করেছে। ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্বাচনী চিঠি পাওয়ার পর থেকে কাজ আরও ত্বরান্বিত হয়েছে, যদিও এর আগেই বড় কাজ শুরু করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, “আমরা এমন প্রস্তুতি নিচ্ছি যেন কেউ বলতে না পারে কমিশন প্রস্তুত ছিল না। সরকার যখনই চাইবে, আমরা নির্বাচন পরিচালনা করতে প্রস্তুত।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *