ঢাকা: ঢাকার গুলশানে অবস্থিত ওয়েস্টিন হোটেল থেকে রোববার রাতে এক মার্কিন নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব্যক্তির নাম টেরেন্স আরভেল জ্যাকসন (৫০)।
ঢাকার অভিজাত পাড়ার পাঁচতারকা হোটেল এই ওয়েস্টিন। যেখানে থাকার মানে নিরাপত্তা আর নিশ্চিন্ত বিলাসিতা। সেই জায়গাতেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক টেরেন্স আরভেল জ্যাকসনের নিথর দেহ পড়ে থাকল হোটেল রুমে।
বিস্ময়ের শেষ নেই, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকেও লাশ নিজেদের হাতে বুঝে নিতে পারেনি। ময়নাতদন্তের তো প্রশ্নই আসে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসে যা বলল, তাই হলো।
লাশ চলে গেল তাদের জিম্মায়। এ কোন রাষ্ট্র? এ কেমন সার্বভৌমত্ব? পুলিশের ভূমিকা কি শুধু সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে দর্শকের মতো হাত গুটিয়ে রাখা?
এটাকে দুর্ঘটনা বা “স্বাভাবিক মৃত্যু” বলে পাশ কাটিয়ে দেওয়া যায় না। কারণ ঘটনাটা এমন সময়ে ঘটছে, যখন গোটা দেশটাই পরিণত হয়েছে এক উন্মুক্ত কবরস্থানে।
রাস্তা, নদী, খাল, ডাস্টবিন, পার্ক, ফুটপাথ – যেখানেই তাকাবেন, সেখানেই লাশ। এখন পাঁচতারকা হোটেলও বাদ গেল না।
কিন্তু রূঢ় বাস্তবতা হলো, মহাজন ইউনুস ও তার সেনাপ্রধান ওয়াকারের অবৈধ দখলদার শাসনে বাংলাদেশে লাশ এখন আর খবরই নয়।
কিন্তু ওয়েস্টিনের এই লাশ প্রমাণ করে, পরিস্থিতি শুধু দেশের সাধারণ মানুষের জন্য নয়, বিদেশিরাও নিরাপদ নন। আমেরিকান নাগরিকও মরছে এখানে, আর তার লাশও চলে যাচ্ছে দূতাবাসের হাতে — রাষ্ট্রের চোখের সামনে, কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই।
ওয়েস্টিন ঢাকার ৮০৮ নম্বর কক্ষ থেকে টেরেন্সের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত কয়েক মাস ধরে ব্যবসার কাজে টেরেন্স বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। ২৯ আগস্ট শুক্রবার তিনি ওয়েস্টিনে চেক ইন করেন।