ঢাকা: বাংলাদেশ রেলের অবস্থা একদম ইউনূসের মতো। চলে আর না! কখনো দেখা যাচ্ছে, মোবাইলের টর্চ দিয়েই ইঞ্জিন চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন চালক, কানো বগি রেখেই চলে গেলেন না, হঠাৎ দেখলেন বগি নেই, কোথায় খুলে পড়ে আছে! একটা দেশের জনগণের জীবন নিয়ে এইভাবে ছিনিমিনি খেলছেন প্রফেসর।
পর্যটক এক্সপ্রেসের চালক হঠাৎ খেয়াল করলেন, পেছনে একটিও বগি নেই। কী অদ্ভুত অবস্থা!
কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের বাফার হুক ভেঙে গিয়ে ইঞ্জিন থেকে ১৮টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের পটিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত ১৮টি বগি বিচ্ছিন্ন হওয়ার কিছুক্ষণ পর চালক বুঝতে পারে পেছনে কোনো বগি নেই।
হঠাৎ ট্রেন থেমে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের অন্ধকারে ট্রেন এইভাবে দাঁড়িয়ে পড়ায় যাত্রীরা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পড়েন।
পরে যাত্রীরা জানতে পারেন, ইঞ্জিনের হুক ভেঙে যাওয়ায় বগিগুলো পেছনে রয়ে গেছে।
একজন যাত্রী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “হঠাৎ ট্রেন থেমে গেল, আবার আলোও ছিল না। অনেকেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। পরে রেলকর্মীরা এসে জানালেন, ইঞ্জিন চলে গেছে।”
আরেক যাত্রী বলেন, “ঢাকায় জরুরি কাজে যাচ্ছিলাম। এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরি হয়ে গেল। রেল কর্তৃপক্ষের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”
মেরামত ও নতুন ইঞ্জিন পাঠানোর পর রাত ১২টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে পুনরায় যাত্রা শুরু করে।
ইউনূস আর তাঁর বিভাগ কী দেখছে? রক্ষণাবেক্ষণ নেই, শুধু পকেট ভর্তির ধান্দা আর দেশ কীভাবে বিক্রি করা যায় এই চিন্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রেল কর্মকর্তা জানান, এমন ঘটনা খুবই বিরল। তিনি বলেন, “এই ধরনের ত্রুটি বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে”।