ঢাকা: মহাজন নির্বাচন করতে পারবেন তো? আর সেই নির্বাচনে যে সরকার গঠন করবে টিকবে তো?

জনগণ কী বলছে? আওয়ামী লীগ ছাড়া ?

তারা বলছে, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া এই নির্বাচনে ভোট দেবো না’!

জনসাধারণ বলছে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে দেখতে চাই। আমরা বিগত ১৬ বছর ভালো ছিলাম।

মানুষ বলছে, খোদ ইউনূসই তাঁর ৮ উপদেষ্টা মন্ডলী সহ দুর্নীতি করে দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছেন। কার কাছে বিচার দেবে জনতা?

তাই সবার একটাই কথা- আগেই ভালো ছিলাম। জনগণ আবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সরকারই চায়।

ইসি একটা জঞ্জাল তৈরি করে যাবে। এবং ইতিহাস সাক্ষী হয়ে থাকবে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন বৈধ হবে না। জোরপূর্বক আওয়ামী লীগকে স্থগিত করে রেখে আসলেই কী কোনো কাজের কাজ হবে? মুক্তি পাবে এই দেশের জনগণ!?

ইসি তো বন্দী এখন। নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, কোনো দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র দাঁড়াতে পারবে কিনা সেটা সময় বলে দেবে।

অর্থাৎ আওয়ামী লীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির নিবন্ধিত এই দলটি দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নিতে পারবে না। আওয়ামী লীগের নাম না নিলেও স্থগিত থাকা দলের বিষয়ে ইসির অবস্থান স্পষ্ট করলেন ইসি সানাউল্লাহ।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের কথাগুলো বলেন।

‎তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন।

এছাড়া আদালত কর্তৃক যারা ফেরারি ঘোষিত হবেন, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। লাভজনক পদে যারা আছেন বলে গণ্য হবেন এবং যারা সরকারি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার আছে এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তারা অংশ নিতে পারবে না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *