ঢাকা: মহেশখালী মাতার বাড়িতে এখন যাওয়া আসা হচ্ছে শুধু ষড়যন্ত্রের খুঁটিটি মজবুত করার জন্যে। কারণ উন্নয়ন যা করার তা সমস্তটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে গিয়েছেন।
কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়িতে সিঙ্গাপুরের মত নতুন শহর শেখ হাসিনা জন্ম দিয়েছেন, শেখ হাসিনা কোন দেশের কাছে বিক্রি করার জন্য এই আন্তর্জাতিক বন্দর করেননি। তাঁর মেরুদণ্ড ছিলো, তিনি তাঁর ব্যবহার করেছেন।
আজ জনগণকে বোকা বানানো এত সহজ নয়। আর যতটুকু সহজ হয়েছে জুলাই আন্দোলনে, এখন ধাক্কা খেয়ে পাক্কা হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। তাই মনে হয়! এবং তারা জানে, শেখ হাসিনা কতটুকু উন্নতি করে গিয়েছেন দেশটার আর জঙ্গী ইউনূস কী করছেন এখন! খালি চোখেই সব ধরা পড়ছে। অনুবীক্ষণের প্রয়োজন নেই।
এক যুগের প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সিঙ্গাপুরের মত আন্তর্জাতিক মানের মহেশখালী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নির্মাণ করেন।
নির্মাণ কাজ ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের শেষের দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মানের গভীর সমুদ্র বন্দর ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র একই দিন উদ্বোধন করেন, সেদিন লক্ষ লক্ষ জনতার জনসমুদ্রে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমি থাকার সুযোগ হয়েছিল।
বাংলাদেশের মানুষের এই বিষয়গুলো অজানা নয়।
এখন নতুন করে যদি জায়গাগুলো নিয়ে রংমাখানো আলাপ শুরু হয়, তাহলে কী জনগণ বুঝবে?
হাসিনা সিঙ্গাপুরের মত আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্র বন্দর করেছেন। যা বাংলার মাটিতে কেউ চিন্তাও করতে পারেনি।
শেখ হাসিনার চিন্তা, দূরদর্শী পরিকল্পনায় তিনি এই বন্দরকে সিঙ্গাপুরের মত করেছেন। এখানে আর একটা প্রশ্ন আসে না।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটিতে এমন এক বন্দর স্থাপন করেছেন, যা আন্তর্জাতিক মাপের বন্দর, যেটি সিঙ্গাপুরের মত। সেটাই হলো কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়িতে আন্তর্জাতিক মানের গভীর সমুদ্র বন্দর।
শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মানের এই বন্দর ২০২৩ সালে উদ্বোধন করে গিয়েছেন! সব করে গিয়েছেন তিনি। আর তার ক্রেডিট ইউনূস নিলে তিনি হাসির পাত্র হবেন!
আর আজ ইউনূসের কথায় মনে হলো, তিনি সবটাই করেছেন বা করবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে।
মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে। ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।’
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এই কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ৩০ বছর পর মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে চীনের সাংহাই বা সিঙ্গাপুরের বন্দরের মতো উন্নতমানের বন্দর তথা কমার্শিয়াল হাব হিসেবে দেখতে চাই। এ সময়ের মাধ্যমে ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।