ঢাকা: কী প্রমাণ হলো? বিচারবিভাগ হাত বাঁধা। বিচারের হাতেই হাতকড়া পড়েছে!

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ৪৯ আসামি খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ।

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা কখনো পুনঃতদন্ত করার প্রয়োজন নেই বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্ট পুনঃতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট।

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার কোনো অস্তিত্বই নাকি খুঁজে পায়নি দেশের বিচারপতিগণ ও আদালত। কেউ নিহত হয়নি, কেউ আহত হয়নি। সব ফাঁকা! বাঃ বাঃ এত সুন্দর বিচার!

২১আগষ্ট একটা কাল্পনিক ঘটনা, এর কোনো অস্তিত্ব স্বীকার করেনি ইন্টেরিম। লাশ আর আহত সবই এআই ছিলো তাহলে? মনে রেখো প্রজন্ম!

দেশের সর্বোচ্চ আদালত ক্যাঙ্গারু কোর্টে পরিণত!

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন।

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার কোনো অস্তিত্বই নাকি খুঁজে পায়নি দেশের বিচারপতিগণ ও আদালত। কেউ নিহত হয়নি, কেউ আহত হয়নি। সব ফাঁকা! বাঃ বাঃ এত সুন্দর বিচার!

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সমাবেশে কয়েকটি মিলিটারি-গ্রেডের গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

সেই হামলায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত ও স্প্লিন্টারের আঘাতে ৩০০-র বেশি জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান।

তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আক্রমণ থেকে রক্ষা পেলেও, কানে আঘাত পান, যার প্রভাবে তিনি ভুগছেন/ ভুগেছেন।

এই কথা কারো অজানা নয়, সন্ত্রাসী আক্রমণের লক্ষ্যটি সহজ ছিল: শেখ হাসিনাকে হত্যা করে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মূল করা। এটি বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার একটি ছিল।

হামলাটি চালায় হরকাতুল জিহাদ নামে একটি জঙ্গি সংগঠন (হুজি)। এরসাথে বিএনপি’র তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান, সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি’র উপ-শিক্ষামন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, জামায়াতে ইসলামের সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরী, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং আইন প্রণয়নকারীরাও সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত ছিলো।

এছাড়াও কাশ্মিরভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন, হিজবুল মুজাহিদিন, তেহরিক জিহাদ-ই ইসলাম, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং মিয়ানমার ভিত্তিক রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) সহ বেশ কয়েকটি বিদেশি গোষ্ঠি এর সাথে জড়িত ছিল।

শেখ হাসিনার ওপর মারণ হামলা বহুবার হয়েছে। এবং প্রতিবার তিনি বেঁচে ফিরেছেন। তবে বেঁচে ফিরেছেন বলে হামলাকারীদের শাস্তি হবে না এ কেমন কথা?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *