ঢাকা: ন্যায়বিচারের মানদণ্ড নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠলো!

প্লট দুর্নীতির মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি সহায়তা দিতে আদালতে আবেদন করেছিলেন চারজন আইনজীবী।

কিন্তু তাঁদেরকে সেই অনুমতি দেয়া হয়নি। চার ‎আইনজীবী হলেন- মোরশেদ হোসেন শাহীন, ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ এবং মো. তপু।

প্রখ্যাত মানবাধিকার আইনজীবী জেড আই খান পান্না আদালতে আবেদন জানান— তিনি শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে যুক্ত হয়ে আইনি লড়াইয়ে অংশ নিতে চান। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি গ্রহণ করেনি।

মূলত আদালত সেই সুযোগ না দিয়ে প্রতিরক্ষার পরিসর সীমিত করেছে— যা ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তোলে।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন। তার প্রতিরক্ষায় জেড আই খান পান্নার মতো খ্যাতিমান মানবাধিকার আইনজীবীর যুক্ত হওয়া দেশি-বিদেশি মহলে একটি শক্ত বার্তা দিত— যে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হলেও ন্যায্য ও সম্মানজনক প্রতিরক্ষা পাচ্ছেন।

আদালত নিরপেক্ষ প্রতিরক্ষা থেকে বঞ্চিত করছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মহলে এটি ‘ন্যায্য বিচারের ঘাটতি’ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।

এইবারো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রমাণ হলো।

‎বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ রবিউল আলমের আদালতে বিচারাধীন তিন মামলায় আইনজীবী হতে উক্ত আইনজীবীরা আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ আদালতে বিচারাধীন মামলায় ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে তাঁরা নিয়োগ পেতে ইচ্ছুক।

শুনানি নিয়ে বিচারক তাঁদের এই আবেদন নাকচ করে দেন। জানান ‎দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *