বর্তমান বাংলাদেশে মিলিটারি ব্যুরোক্রেসি, বেসামরিক ব্যুরোক্রেসি, অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, সামাজিক বন্ধন বলতে কিছুই নেই। সর্বত্রই চরম অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা। কখন কি হবে তা নিয়ে চরম আতংকে দেশবাসী। অথচ ২০২৪ এর জুলাই- আগষ্টে ড. ইউনুস ও তার সহযোগীসহ দেশি- বিদেশী চক্রান্তে সারা বাংলাদেশ ছিল জলন্ত আগ্নেয়গিরির মত। সেই আগষ্টে বিদেশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা শান্তিতে নোবেল লরিয়েট ড. ইউনুস ত্রাতা (!) হিসেবে দায়িত্ব নিলেন।
তখন সেই আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বললেন, দেশের সব ক্ষেত্রেই ‘ লডর ফডর’ ( চরম বিশৃঙ্খল) অবস্থা। এই ‘ লডর ফডর’ শব্দটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা। এই মন্তব্যকারি ইউনুসের ভাবখানা এমন যেনো তিঁনিই এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে পারবেন।
কিন্তু দীর্ঘ সাড়ে নয় মাসে সেই শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের যে কি হাল করেছেন তা আর নতুন করে কিছু বলার নাই। এমন অবস্থায় নাগরিকরা বলাবলি শুরু করেছেন- বাংলাদেশের এই ” লডর ফডর” অবস্থার জন্য ইউনূস আর তার উপদেষ্টারাই দায়ী।
এক প্রবাসী দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী নাগরিক ফখরুল আলম একটি সামাজিক গ্রুপে বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় নিয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন অত্যন্ত ক্ষুব্ধতার সাথে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন- বাংলার জনপদে রক্ত ঝরবে — এই ভবিষ্যৎ কি সেনাবাহিনী চায়? আরাকান করিডোর—এই একটি শব্দই যেন বাংলাদেশের বুকজুড়ে প্রতিধ্বনি তুলছে শঙ্কার, বিষাদের আর এক অনিবার্য রক্তপাতের পূর্বাভাস। এই করিডোর কোনো রাস্তা নয়, এটি একটি ছলচাতুরির ফাঁদ, যার পরিণতি হবে দেশি-বিদেশি আগ্রাসনে আক্রান্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বুকে অশ্রু, কান্না আর রক্তপাতের করুণ চিত্র। এই পথে কেবল ব্যবসা আসবে না—এই পথে আসবে গোলাবারুদ, আসবে আগুন, আসবে মৃত্যু। আর সবচেয়ে বেশি ঝরবে কার রক্ত? নিরীহ, সাধারণ, শান্তিপ্রিয় এই দেশের মানুষের রক্ত।
এ দেশের সেনাবাহিনী কি সেই রক্ত ঝরার নীরব সাক্ষী হতে চায়? যারা বছরের পর বছর পাহাড়ে থেকেছে, এক ফোঁটা ঘুম না নিয়ে সীমান্ত পাহারা দিয়েছে, তারাই কি আজ এমন এক ষড়যন্ত্রের পথ খুলে দেবে, যেখানে শত্রু ঢুকে পড়বে বুক চিরে? যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, তারা কি চুপচাপ দেখে যাবে, কীভাবে তাদেরই ভাই-বোন, মা-বাবা, সন্তান এক এক করে মৃত্যু বা বাস্তুচ্যুতির মুখোমুখি হয়?
এই করিডোর বাস্তবায়িত হলে, কেবল সীমান্ত নয়, চিরতরে বদলে যাবে এই ভূখণ্ডের মানচিত্র, বদলে যাবে জনগণের জীবন। রক্ত ঝরবে স্কুলপড়ুয়া বাচ্চার, কাঁদবে কোন এক গৃহবধূ পাহাড়ের চূড়ায় স্বামীর লাশ বয়ে। আর সেই রক্তের দাগ কি সেনাবাহিনী ধুতে পারবে কোনোদিন?
এই সেনাবাহিনী তো জন্ম নিয়েছে দেশকে রক্ষার জন্য, দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য। বিদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় নিজেরই দেশের জনগণকে বলি দেওয়া—এই সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এমন কলঙ্কের অধ্যায় থাকার কথা নয়।
আজ হুমকি আসছে আমেরিকার ছায়ায়, জাতিসংঘের কাভারে। বলা হচ্ছে—“করিডোরে সায় না দিলে পিস কিপিং মিশন থেকে বাদ দেওয়া হবে।” কী অবজ্ঞা! কী অসম্মান! যে সেনাবাহিনী নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শান্তি রক্ষা করে এসেছে আফ্রিকার মরুভূমি থেকে হাইতির গলিতে, আজ তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে ডলারের লোভে? এই সেনাবাহিনীর আত্মসম্মান কি এতটাই সস্তা যে তারা নিজ দেশের বুক ছিঁড়ে চক্রান্ত বাস্তবায়ন করবে কেবল একটি মিশনের অংশ থাকার জন্য?
আজ সেনাবাহিনীর সামনে দুটি পথ। একটি, বিদেশি চাপ ও ঘরের শত্রুর ইশারায় নীরব থেকে ইতিহাসের পৃষ্ঠায় কলঙ্কিত হয়ে যাওয়া। অন্যটি, বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে জনতার পক্ষ নেওয়া, দেশের মাটি, মা-মাটি-মানুষের পাশে থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে চেপে ধরা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি সেই দিন দেখতে চায়, যেদিন কোনো পাড়ায়, কোনো গ্রামে, তাদের পোশাক দেখলেই কেউ বলে—“তোমরা তো কিছু করনি, আমাদের রক্ষা করোনি”? তারা কি দেখতে চায়, জাতি কাঁদছে আর সেনাবাহিনী নিশ্চুপ? না, এই সেনাবাহিনী সে নয়। এই সেনাবাহিনী একাত্তরের উত্তরসূরি। তাদের অস্তিত্ব এই পতাকায়, এই জনগণে, এই ভূখণ্ডে। আজ তাদের হাতেই ভবিষ্যৎ—দেশকে রক্ষা করার, আরাকান করিডোরের মতো সর্বনাশা চক্রান্তকে মাটিচাপা দেওয়ার। জেগে ওঠো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই দেশের মানুষ এখনো তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে ভরসায়, ভালোবাসায়। তাদের কান্না থামাও, তাদের বুক থেকে শঙ্কা সরাও। এই করিডোর বন্ধ করো, এই ষড়যন্ত্র থামাও—এটাই তোমাদের সত্যিকার বিজয়, সত্যিকার গৌরব। ”
এতো একটি মাত্র উদাহরণ দিলাম করিডোর নিয়ে। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সব রাজনৈতিক দলই মুখ খুলতে শুরু করেছে। বিএনপি, আওয়ামীলীগ, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বাম দলগুলো, গন অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরুসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার ভার বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার চরম বিরোধীতা শুরু করেছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রচন্ড লোভী শান্তির ‘ নোবেল লরিয়েট’ ড. ইউনুস, তার সমর্থিত (নিন্দুকদের ভাষায় টোকাইদের দল) নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি( এনসিপি) ছাড়া সবাই এর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই শুধু নয়, সরাসরি প্রকাশ্য জনসভায়ও চরম সমালোচনার মুখে পড়ছে ইউনুস সরকার ও তার পারিষদবর্গ।
বিএনপি’ র দ্বিতীয় ক্ষমতাধর নেতা ( যদিও তিনিই সব নির্দেশ দেন) তারেক রহমান বা তারেক জিয়া লন্ডনে বসেই ইউনুস সরকারকে হুমকি দিয়েছেন। তিনি কথিত মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে শুধুমাত্র নির্বাচিত সংসদ বা সরকার। তার সাথে সুর মিলিয়ে বিএনপি’ র অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাও প্রকাশ্য জনসভায় ইউনুস সরকারকে ধুঁয়ে ফেলছেন সমালোচনা করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আমিনুল ইসলাম অনেক ক্ষোভ নিয়ে লিখেছেন, ” চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে দিয়ে দেয়ার সকল বন্দোবস্ত ফাইনাল করা হয়ে গেছে ! এরপর এই বন্দরকে কাজে লাগিয়ে অ্যামেরিকা এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবে। চায়নার সাথে ফাইট দেবে। আমরা বাংলাদেশিরা পড়বো মহাবিপদে! আপনারা রাখাইনে করিডোরও দিয়ে দিচ্ছেন। কারও কথা শুনছেন না। সেন্ট-মার্টিন নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটে নাই। আপনারা আসলে কী চাইছেন?
চট্টগ্রাম-কক্সবাজারকে কি আপনারা বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে ফেলবেন? আপনাদেরকে এইসব সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার কে দিয়েছে? প্রায় সকল রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করছে। এরপরও কেন আপনারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন? আপনারা একটা অন্তর্বর্তী সরকার। আপনাদের মূল কাজ হচ্ছে সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন করা। এর কোন কিছু না করে কেন আপনারা বিদেশিদের হাতে দেশ তুলে দিচ্ছেন?
এইসব করলে বাংলাদেশ ভেঙে যাবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষদের উচিত এর প্রতিবাদ করা। পুরো বাংলাদেশের উচিত এর প্রতিবাদ করা। মনে রাখবেন- অ্যামেরিকা তৃতীয় বিশ্বের যে দেশেই গিয়েছে; সে দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, সুদান থেকে শুরু করে এমন কোন দেশ নেই, যে দেশে ঢুকে ওরা পুরো দেশটা শেষ করে ফেলেছে। এখন আমাদেরকে ধ্বংস করতে আসছে অ্যামেরিকা।এভাবে চললে বাংলাদেশ কয়েক টুকরো হয়ে যাবে। আমেরিকা এটাই চায়। এতে ওদের সুবিধা। কিন্তু আমরা শেষ হয়ে যাব।”
এমনকি যে জামায়াতে ইসলামী এসব ব্যাপারে চুপ থাকতো তারাও সরব হয়েছে। চট্টগ্রামে জামায়াতের নেতারা প্রকাশ্যে কথিত মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব মার্কিনীদের বা বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার বিরুদ্ধাচারন করছে। বিএনপি’ র শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদল বা জামাতের শ্রমিক সংগঠনও প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ ও মিছিল করছে।
এদিকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ‘চট্টগ্রাম সুরক্ষা কমিটি’ নামে একটি সংগঠন। রোববার (১৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্দর ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বিপ্লব পার্থের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকার আহ্বায়ক এম এ হাশেম রাজু, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল নেতা হুমায়ুন কবির, বেসরকারি কারা পরিদর্শক উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নেতা ডা. রাজীব বিশ্বাস, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মহসীন, সাইদুল ইসলাম রুবেল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের উপ দফতর সম্পাদক নাফিজ শাহ, মহানগর ছাত্রদল নেতা রাজু দাশ, কোতোয়ালী থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজু দাশ, যুবদল নেতা মো. খলিল।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘আমরা বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে নই। তবে যেটা চালানোর সক্ষমতা আমাদের দেশের আছে সেটা বিদেশিদের কাছে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয় বলে জানিয়েছেন। আবার হেফাজতে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, জামায়াতে ইসলাম, সমমনা ১২দল, বিভিন্ন সংগঠন বন্দর পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাহলে দেশের সব রাজনৈতিক দল, জুলাইয়ের সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা না বলে সরকার এভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’ এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে আওয়ামী লীগের আমলের সকল সিন্ডিকেট ভাঙতে সকলকে এক হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যায়ের এক খন্ডকালীন শিক্ষক আবদুল মোনেম বলছেন, বাংলাদেশ গণহত্যাকারী দেশ, পূথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ন দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ইউনুস সরকারের সময়।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশ সম্পর্কে দুটো জিনিস বিশ্ববাসীকে ফলাও করে জানিয়েছেন এবং তা হলো বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিজেদের লোকদের প্রোটেকশন বা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। তারা গণহত্যা বা জিনোসাইডের অংশীদার।দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ন দেশ। তার এই ব্রেণ্ডিং বা বদনামের ফলে বাংলাদেশকে বহুবছর আক্ষেপ করতে হবে।
এক সময় বাংলাদেশ “তলাবিহীন ঝুড়ির” বদনাম পায় এবং তার ফলে এদেশে বিদেশী বিনিয়োগ হতো না। বাংলাদেশীদের দেখলেই বলতো মিসকিন। শেখ হাসিনা অভাবনীয় উন্নয়ন করে সে বদনাম ঘুচিয়েছিলেন। ইউনূস সাহেব আবার নতুন বদনাম অর্জন করলেন। আর ইউনূস সাহেবের এই ব্রেণ্ডিং এর কারণে বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনী আগামীতে জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে নিয়োজিত নাও হতে পারে। হলেও কম হবে। ইতিমধ্যেই সংখ্যা কমেছে। আগে প্রায় সাড়ে বারো হাজার শান্তিরক্ষা কাজে নিয়োজিত হতো এবং বর্তমানে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার। এটা আরো কমতে থাকবে। দ্বিতীয়ত দুর্নীতিপরায়ন দেশ হিসেবে একে কেউ ঋণ দেবে না। আর দিলেও ছডা দামে দিবে। তাছাড়া বাংলাদেশীদের কোনো দায়িত্বপূর্ণ কাজে নিয়োগ দিবে না। তাদের সবসময় সন্দেহ করবে। ইয়াং টেলেন্ডেড (young talented) ছেলেপুলেদের দেখলে মনে করবে এরা চোর ও দুর্নীতিপরায়ন। এজন্য দায়ী ড.ইউনূস ও তার সহযোগীরা ।
আট মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা স্টক মার্কেট থেকে লুঠপাট— এ এক অকল্পনীয় লুটপাট। ইউনূস সাহেবের সরকার দরবেশকেও ( বেক্সিমকোর মালিক সালমান এফ রহমান) হারিয়েছেন। দরবেশ তার কাছে নস্যি বৈকি।
#নুরুল ইসলাম আনসারি, লেখক, গবেষক।