ঢাকা: কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলের অফিসে আগুন দেওয়া হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের অন্যায়ভাবে জেলে ঢোকানো হচ্ছে, সাংস্কৃতিক কর্মীদের ফ্যাসিস্ট বলা হচ্ছে।
জনসম্মুখে মব করে হত্যা, নদীতে ভাসছে লাশ, রেকর্ড সংখ্যক নারী ধর্ষিত হলেও বিচার নেই। এতো নির্যাতন-অত্যাচারের নজির এদেশে আগে কখনও ছিল না।
অথচ মহাজনের ভাষায় আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নাকি হবে ইতিহাসের সেরা — যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলো বাদ, থাকবে শুধু বিএনপি-জামায়াত আর নুরু-ফুয়াদের দল! ভাবা যায়?
তবে অভিযোগ উঠেছে, “ঈমান- আকিদা রক্ষা কমিটি” নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এই হামলা চালানো হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের প্রভাবশালী নেতারা।
প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, এই কমিটির সদস্য সচিব হলেন গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী খান।
এই হামলাকে পুরোপুরি পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করা হচ্ছে। কারণ, ঘটনার কিছুদিন আগেই (৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) এই “ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি” একটি সংবাদ সম্মেলন করে নুরাল পাগলার কবর উচ্ছেদের হুমকি দিয়েছিল।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কমিটির সদস্য খন্দকার আবদুল মুহিত এবং সাইদুল সরদারসহ অন্যান্য আলেম-ওলামারা।
এছাড়াও আরো যা জানতে পারা গিয়েছে, জেলা জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন এবং তার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরাও যুক্ত ছিল, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
আর বিএনপি একদম ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে বসে আছে? নিজেদের অন্যায় আবদার গুলো একটু দেখুক এরা, সবেতেই যদি আন্তর্জাতিক ভূত দেখে তাহলে তো নিজের দেশের সেবা আর করা হবে না বিএনপির!
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ঘটনায় তৌহিদি জনতার নামে দেশে যে উৎপাত ও নৈরাজ্য শুরু হয়েছে এর পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জামাত শিবিরসহ বিএনপি এনসিপি দেশকে উত্তেজিত করে রাখবে, আগুন জ্বালাবে, এই দল, ঐ দলের ক্ষতি করবে আর এখন আন্তর্জাতিক ভূত দেখছে চোখে।
বিএনপির আমলে যেমন শেখ হাসিনা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত করছিল, আবারও সে রকম ষড়যন্ত্র চলছে কি না অন্তর্বর্তী সরকারকে তা খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এক মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন রিজভী।
ভেতর থেকেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান আমলেও মাজার আক্রমণ করা বা লাশ পুড়িয়ে দেয়ার কথা শোনা যায়নি।এখন হঠাৎ করে এসব নৈরাজ্য কেন করা হচ্ছে। ’
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে রিজভী বলেন, আজ আমরা গণতন্ত্রের চেতনাই বলি, আমরা রাষ্ট্রীয় চেতনাই বলি– পৃথিবীর কাছে নিদর্শন দিয়ে গেছেন আরবের সেই মহামানব।
আমরা সেখান থেকে শিক্ষা না নিয়ে আমরা নিজেদের যে ধর্ম, নিজেদের যে ইসলাম, সেটাকেই আমরা কত ফেরকা, কত ধরনের কথাবার্তা দিয়ে শুধু বিভাজন করছি। অথচ ঐক্যের প্রতীকই ছিলেন আমাদের মহানবী (সা.)।
