ঢাকা: নির্বাচনের জন্য সময় ক্ষেপণ করতে একদম রাজি নয় বিএনপি।বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না, অথচ এদিকে, এখন ইশরাককে আবার মেয়র হিসেবে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে বলছে। বিএনপি ১৫ বছর ধরে বলে আসছে, আওয়ামী লীগের আমলে হওয়া সব নির্বাচন অবৈধ। এখন আবার সেই অবৈধ নির্বাচনের বৈধ মেয়র হিসেবে ইশরাককে চাইছে। বিষয়টা নিজেদের সাথেই মেলে না।
এবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার একটা পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে দলের এক যৌথ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নির্বাচন বিষয়ে এই কথা বলেন তিনি।
‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে কালো ছায়া’র আশঙ্কা প্রকাশ করে নেতাকর্মীদের যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আজকের এই সভাটি অত্যন্ত মূল্যবান ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি। এটা এজন্য যে, হাজারো ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে যে নতুন একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার, ফ্যাসিবাদমুক্ত একটা আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার, সেখানে আমরা দেখছি একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়াচ্ছে।’
‘অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া, জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার একটা পাঁয়তারা শুরু হয়েছে’।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন বিভাজনের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। এখানে গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনগুলোকে পরস্পরের মুখোমুখি করার একটা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু করা হয়েছে।’
‘আমরা দেখতে পারছি কিছু মানুষ সরকারের মধ্যে অনুপ্রেবশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে’ ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপরে সবসময় গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে। সেই দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার, সেই দায়িত্ব শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার কাজ করতে শুরু করেছিলেন, এখন যে তরুণ নেতা নতুন স্বপ্নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।’
‘তাদের সব স্বপ্নগুলোকে বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বাস্তবায়িত করার জন্য বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে অত্যন্ত সজাগ ও সচেতনভাবে তাদের কাজ করতে হবে এবং রুখে দাঁড়াতে হবে যেকোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে’।