ঢাকা: বাংলাদেশের মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পূজা মণ্ডপে মদ ও গাজার আসর বসানো হয় এমন বিকৃত তথ্য আপনাকে কে দিলো?
পূজার মণ্ডপ পুজো করার জন্যেই হয়, সেটা মাদ্রাসা নয় যে ধর্মের আড়ালে কুকীর্তি হবে!
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যে মন্তব্য করেছেন তাতে বাংলাদেশের সনাতনী সমাজ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
পূজা মণ্ডপে কেউ কখনো মদ ও গাজা খায় না বা খেতে পারে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মতো ব্যক্তি দায়িত্বশীল পদে থেকে যখন এ সকল কথাবার্তা বলেন, তখন তা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক হয়ে উঠে!
মাননীয় উপদেষ্টা দুর্গা পূজার মণ্ডপ নিয়ে যা বলেছেন তা নিয়ে কি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন?
দুর্গাপূজায় মদ-গাজার আসর বসানো যাবে না, বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বলেছেন, ২৪ ঘণ্টা পূজামণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। পূজা উপলক্ষ্যে আশেপাশে যে মেলা বসে সেখানে মদ ও গাঁজার আসর বসে। এবার এসব মেলা হবে না। গাঁজা ও মদের আসর বসানো যাবে না।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভার আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্ডার এলাকায় পূজা মণ্ডপের দায়িত্ব দেওয়া হবে বিজিবিকে। তবে সারাদেশেই আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় একটা লাইন করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কার পরে কে বিসর্জন দেবে এর ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। সারাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার পূজা মণ্ডপ রয়েছ।
তিনি মূলত সনাতন ধর্মকে ছোট করতে গিয়ে নিজের ধর্মকে ছোট করেছেন। কারণ অপরের ধর্মকে যারা সম্মান করেন তাঁরা মূলত মানুষ।