ঢাকা: লেবাসধারী জামায়াত কিনা করে? এরা দেশদ্রোহিতা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে যতরকম দুই নম্বরি আছে সব করে।

আর তো আছেই জামায়াত সংস্কৃতি বিরোধী। গান বাজনা সব আনন্দের জিনিস তাদের জন্য হারাম।

যুগের পর যুগ ধরে জামায়াতে ইসলামি এইভাবে ভণ্ডামি করে আসছে। এরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে হাত মিলিয়ে আলবদর, রাজাকার গঠন করে গোটা বাঙালি জাতির সাথে শুধু বিশ্বাস ঘাতকতাই করেনি; হানাদারদের সাথে এরা ৩০ লক্ষ বাঙালি গণহত্যা ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হরণে সমানতালে বর্বরতা চালিয়েছে। এরা একাত্তরের খুনি, এরা ধর্ষক৷

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় বরণ করার পরেও এখনো জামায়াত এক পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে।

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত, এই ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড জামায়াতে ইসলামি।

এরা জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে।

তবলা, হারমোনিয়াম সব তাদের শত্রু।

এইদিকে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তে খুব অপমান বোধ করেন এক বক্তা। ক্ষোভ প্রকাশ করেন একজন ইসলামি বক্তা।

এইবার ক্লোজআপ তারকা মিজান মাহমুদ রাজীব ফেসবুকে মোক্ষম প্রশ্নটি করেছেন। তিনি লিখেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে গানের মানুষ কী করে খাবে?

গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি লিখেছিলেন, ‘তুরষ্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দুবাই, কাতারের মতো উন্নত মুসলিম দেশগুলোতে সরকারিভাবে বাচ্চাদের ধর্মের পাশাপাশি সংগীত শেখানো বাধ্যতামূলক বা অপশনাল।

কোথাও সংগীতকে ধর্মের শত্রু বানানো হয়নি। আমাদের শিশুদের মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য ধর্মের পাশাপাশি সংগীত ও কলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার শিশুর মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করুন।’

আজ (৮ সেপ্টেম্বর) সোমবার বিকেলে রাজীব আবারও তাঁর ফেসবুকে এই নিয়ে জামায়াতকে বিঁধে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এবং কথাগুলো একদম সত্য লিখেছেন।

সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসে, তাইলে আমরা যারা গানের মানুষ তারা কী করে খাব?’

ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক স্তরে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। অথচ সংগীতের মতো একটি অতিপ্রাকৃতিক বিষয়ের জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের মতে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং জনমতবিরোধী।’

তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘এই দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও প্রাথমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষার জন্য কোনো বিশেষায়িত শিক্ষক নেই। অন্যদিকে সংগীতের জন্য নির্দিষ্ট পদ সৃষ্টি হচ্ছে। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা সন্তানদের বিশ্বাস ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সুরক্ষিত দেখতে চাই।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *