পাবনা: ইতিহাস ঐতিহ্যের ২০০ বছরের পুরাতন পাবনা জোড়বাংলা মন্দির।
তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে উত্তরের জেলা পাবনায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জোড়বাংলা মন্দির।
এটি খুব দুঃখজনক। শহরের রাঘবপুর এলাকায় পোড়ামাটির নিখুঁত ফলক আর দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলীতে তৈরি মন্দিরটি অবহেলায় সৌন্দর্য একেবারেই হারিয়ে ফেলেছে।
সবমিলিয়ে দর্শক-পর্যটক কমেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পুরোনো পাবনার ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন জোড়বাংলা মন্দির।
মন্দির সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে পাবনার সদরে নির্মিত হয় ঐতিহ্যবাহী জোড়বাংলা মন্দিরটি।
ইটের বেদির ওপরে শৈল্পিক টেরাকোটার কারুকার্যে নির্মিত মন্দিরটির চারপাশের দেয়ালে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন পোড়ামাটির কারুকার্য।
মন্দিরটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে দোচালা আকৃতির ছাদ ও সম্মুখ অংশে থাকা অর্ধবৃত্তাকার তিন খিলানের দরজা।
মন্দিরটির সামনের অংশ এখন একদম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। পলেস্তারাগুলো খসে পড়েছে।
এছাড়াও ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মন্দিরটি প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অবহেলায় ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে পুরোনো এই মন্দির।
এখন একদম শুনশান হয়ে গেছে মন্দিরটি। এক সময় এই মন্দিরে আয়োজন করা হতো ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের। গ্রামীণ মেলাও বসতো একসময়।
১৯২৯ সালে এ ষি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি সংরক্ষিত হিসেবে তালিকায় নেওয়া হলেও ২০১৫ সালের পর আর মন্দিরটির কোনো সংস্কারকাজ হয়নি।
বগুড়ায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বে থাকা আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান জানাচ্ছেন,
‘মন্দিরটি সঠিকভাবে সংস্কার করতে প্রয়োজন দক্ষ শ্রমিক। কিন্তু সেই দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম। সে কারণে বিগত বছরগুলোতে বরাদ্দ পাওয়ার পরে কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে এ বছর মন্দিরটির সংস্কারকাজ করার চেষ্টা আছে।’