ঢাকা: বাংলাদেশ গণ আন্দোলনের জেরে ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে ‘আশ্রয়’ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে কেমন আছে বাংলাদেশ? যে বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্রোতে নিয়ে যাচ্ছিলেন শেখ হাসিনা, সেই উন্নয়নের ধারা কী অব্যাহত রাখতে পেরেছেন মুহাম্মদ ইউনূস?

যে আশা দেখিয়ে সিংহাসন দখল করলেন, সে আশা কী ধরে রাখতে পেরেছেন? ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে চাওয়া নোবেলজয়ী ইউনূসের আমলে বাংলাদেশ আরো অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। এখন এই সোনার বাংলায় প্রকাশ্যে নারীকে পেটানো হয়, প্রকাশ্যে ব্যুলিং এর শিকার হন নারীরা। হিন্দু নির্যাতনের হার তো বলেই লাভ নেই। যেখানে হিন্দু সেখানেই হাতকড়া, আগুন। অথচ এই মুহাম্মদ ইউনূসই নিজে গিয়ে সনাতনীদের সাথে সাক্ষাৎ করে আশ্বাস দিয়েছিলেন হাসিমুখে যে দেশে এমন কিছু আর হবে না।

বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী জনগণ চরম বিপর্যয়ের মুখে। একদিকে হাজার হাজার কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছে।

যদি কেউ ড. ইউনুসের বক্তব্য শোনে, তাহলে হয়তো মনে হবে বাংলাদেশ ইউরোপ-আমেরিকার মতো একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গেছে। তাঁর কথায় উচ্চাভিলাষ, দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বায়নের গালভরা শব্দ, অথচ বাস্তবতা ভয়াবহ রকমের বিপরীত। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, যার সূচনা হয়েছিল এক কঠিন সংগ্রামের পর, আজ থমকে গেছে। কারণ, তিনি একটি অনির্বাচিত, অবৈধ সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসে দেশ চালাচ্ছেন এমনভাবে, যা আমাদের ৯০-এর দশকের ব্যর্থ প্রশাসনিক কাঠামোর কথা মনে করিয়ে দেয়।

মুহাম্মদ ইউনূসের কথাবার্তা ভীষণ অমায়িক, অথচ তিনি দেশটাকে কোন রসাতলে নিয়ে ফেললেন! একসময় বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উঠে আসছিল। ইকোনমিক জোনগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিযোগিতা ছিল। কলকারখানা স্থাপন, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন—সব মিলিয়ে একটি গতি ছিল অগ্রগতির পথে। অথচ আজ?

বিশ্বের বৃহৎ বাজার এখন ভারত। আমেরিকা, চীন, জাপান, কোরিয়া সবাই ভারতের বাজার ধরতে চাইছে। অথচ, আমাদের প্রতিবেশী এই শক্তিশালী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক কার্যত বন্ধ। ভারত ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করেছে বাংলাদেশের সাথে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *