ঢাকা: রেজাল্ট ঘোষণার মোটিকুলাস ডিজাইন দেখে মূর্চ্ছা যেতে হয়।

সর্বকালের সেরা কারচুপি ভোট হয়েছে ডাকসু। ভোট বাক্স আগের থেকেই ভর্তি ছিলো। শিবিরের ধর্ম তো সবাই জানে। রাজাকার শিবির এবার সুযোগ পেয়ে গেছে দেশকে গিলে খাওয়ার। প্রশাসন, সরকার শিবিরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

এদিকে, পূর্ব পাকিস্তানের প্রিয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডাকসু নির্বাচন হলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের ড্যামো।

অথচ এটা যে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না, সেটা এই উপদেষ্টা নামক অপদেষ্টাদের চোখে পড়েও পড়ে না।

স্বৈরাচারীর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ওরফে জোকার জাহাঙ্গীর বলেছেন ‘ডাকসু নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না।’

আবার কি যেন ভেবে পরক্ষণেই তিনি বলে উঠলেন ‘ডাকসু, জাকসুসহ যেসব নির্বাচন হচ্ছে এগুলো জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।’

এর কথা শুনে জনগণ শিউরে উঠছে।

ডাকসুতে কী ঘটেছে জাহাঙ্গীর জানেন তো? নাকি তাতেও কানে তালা?

ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পান শিবির প্যানেলের ভিপি-জিএস সাদিক কাইয়ুম এবং এসএম ফরহাদের ব্যালট আগে থেকে পূরণ করা।

টিএসসির কেন্দ্রে ভোটারের ব্যালেট পেপারে দুই পদে টিক চিহ্ন দেওয়া ছিল ,এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন সহকারী প্রক্টর এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।

আরো দেখা যায়, ভোট গণনার সময় একই কক্ষে শিবিরের সাদিক কাইয়ুমের অবস্থান। এ ঘটনাটি জানা জানি হলে, অন্যান্য প্রার্থীরা সেখানে প্রবেশ করতে চায় এবং প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হয়। এখানে স্পষ্ট প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ স্পষ্ট।

এখানেই শেষ না, জামাত শিবির পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে ভোট দিতে আসা একজন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এগুলোই বুঝি জাতীয় নির্বাচনে হোক চাইছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা? তাছাড়া বলবেন কেন রোল মডেল?

এবারের ডাকসু নির্বাচনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদল বলছে নির্বাচনের ফলাফল যদি তাদের পক্ষে না যায়, তবে ভয়ংকর পরিণাম দেখবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কারচুপির অভিযোগ দিয়ে আগেই প্রতিবাদ মিছিল বের করেছে ছাত্রদল। জোকার জাহাঙ্গীর নির্বাচনের পরিবেশ ভালো বললেও একেকজনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ মোটেও সুষ্ঠু নির্বাচনের বার্তা দেয় না।

একদলকে প্রিভিলেজ দিতে গিয়ে ফলাফল আরেকদলের পক্ষে না হলে যে সহিংসতা হবে এরফলে ভোগান্তির স্বীকার ইউনূস প্রশাসন হবে না৷ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষ্পাপ ছাত্র-ছাত্রী। যারা পড়াশোনা করতে আসে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতিকে কী শেখাচ্ছেন? জঙ্গীপনা কীভাবে করতে হয় সেটা?

কারণ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের আতুরঘর বিএনপি-জামায়াত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *