ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জঙ্গীদের দখলে। ডাকসুর নির্বাচনে ২৮ টি পদের মধ্যে দেশের দুইকোটি হিন্দু সম্প্রদায়ের থেকে একজনও হিন্দু প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়নি!

শুধু তাই নয়, শিবির একদিন পার হতে না হতেই হিজাব নিয়ে শ্লোগান তোলা শুরু করে দিয়েছে।

পড়ালেখা নেই, গবেষণা নেই, জার্নাল নেই, শিল্প-সংস্কৃতি নেই, র‌্যাংকিং নেই। কিচ্ছু ভালো জিনিস নেই। আছে সহিংসতা, আছে মব লিঞ্চিং, আছে বিশৃঙ্খলা, আছে গণবিবাহ, আছে হিজাব র‍্যালি, আছে নোংরা শ্লোগান।

এটাই বর্তমানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরকম বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। শিবিরের দখলে চলে গেছে সব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/মাদ্রাসার সিনেট ভবন আজ মুখরিত “হিজাব হিজাব” স্লোগানে। ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের অপ্রত্যাশিত বিজয়ের পরপরই তারা ঘোষণা দিয়েছে— নারীদের জন্য হিজাব হবে বাধ্যতামূলক!

ডাকসু নির্বাচনে জেতা জিহাদিগুলো হিজাব হিজাব বলে চিৎকার করছে। যে ছাত্রীরা হিজাব পরে না, তাদের নিশ্চয়ই এই কুলাঙ্গারগুলো নানাভাবে হেনস্থা করবে। অন্য ধর্মের মেয়েরা কী করবে?

দেশে আরেকটা ঝামেলা শ্রীঘ্রই উপস্থিত হচ্ছে। পরিস্থিতি সেদিকেই চলে যাচ্ছে।

মেয়েদের স্বাধীনতা, মেয়েদের মত প্রকাশের অধিকার ছিলোও না, এখন তো আরো নেই।

মেয়েদের হিজাবে বন্দি করার পর এরা চিৎকার করবে বোরখা বোরখা। মেয়েদের তখন বোরখা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে। যারা পরবে না, তারা হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাও করতে পারবে না।

ধীরে ধীরে মেয়েদের ঘরবন্দী করবে। চিৎকার করবে, মেয়েদের পড়াশোনার অধিকার নেই।

তালিবানি কায়দায় মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বিরুদ্ধে বলবে। চিৎকার করবে, ছাত্রী চাই না, ছাত্রী চাই না।

প্রশ্ন হচ্ছে, হিজাব পড়া বা না পড়া কি কোনো রাজনৈতিক দলের নির্ধারণ করার বিষয়? ইসলাম নারীকে হিজাবের নির্দেশ দিয়েছে— এটা ধর্মীয় এক আদেশ, তবে সেই আদেশ পালনের দায়িত্ব ব্যক্তির ঈমান আর বিবেকের ওপর নির্ভর করে।

এটিকে রাজনৈতিক স্লোগানে রূপান্তর করা, বা রাষ্ট্রীয় কিংবা সাংগঠনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে কাউকে জোরপূর্বক বাধ্য করা এক ধরনের চরম ভণ্ডামি। ধর্মের শিক্ষাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো ছাড়া আর কিছুই নয়।

আজ তারা হিজাব চাপিয়ে দিচ্ছে, কাল চিন্তা-ভাবনাকেও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে।

একবার এই প্রবণতা শুরু হলে, তা আর হিজাবেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তখন মানুষ কী বলবে, কোথায় যাবে, কাকে অনুসরণ করবে— সব কিছু নিয়ন্ত্রণের নামে সন্ত্রাসে পরিণত হয়।

আর জামায়াত শিবির সেটাই করে আসছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *