বাংলার মুসলমানের রেনেসাঁর কবি বলা হয় কবি ফররুখ আহমদকে। তাঁর একটি কবিতার লাইন মনে পড়ে গেলো হঠাৎ করে। ‘রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী? আর আমার কাছে হঠাৎ মনে হলো কে জানি প্রশ্ন করছে- বাংলাদেশ পাকিস্তান হতে আর কত দেরী ?
গত চব্বিশের জুলাই-আগষ্টে যখন এই কথিত প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা শ্লোগান দিয়েছিল- ‘ তুমি কে আমি কে- রাজাকার.. রাজাকার’ ।তখনই বোঝা হয়ে গিয়েছিল আমরা সত্যিই একাত্তরের ২৬ মার্চের আগে আছি। মানে আমরা পাকিস্তানে আছি।
তবে সেই শ্লোগানটি যে যথাযথ ছিল তখন তা প্রমাণ করলো সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনে পাকি জারজ সন্তান ইসলামী ছাত্র শিবিরের নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। এখন শুধু বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পাকিস্তান’ ঘোষণা দেয়া বাকী। এ জন্যই কবি ফররুখ আহমদের স্মরনাপন্ন হয়েছিলাম।
যেখানে রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী’র জায়গায় বাংলাদেশ পাকিস্তান হতে আর কত দেরী – হয়তো এমনটাই বলতেন কবি।
ডাকসুতে ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিজয়ে পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী তাদের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছে। তবে কয়েকঘন্টা পরেই তা আবার তারা উইথড্র করে নিয়েছেন অজ্ঞাত কারণে। অবশ্য পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী অপর দেশে থাকা তাদের সন্তানদের অভিনন্দন জানাবেন এটাই স্বাভাবিক। এতে অবাক হবার কিছু নেই।
কারণ এই ইসলামী ছাত্র শিবিরতো পাকিস্তান আমলে ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তা নিষিদ্ধ থাকে। যদিও মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার –প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাদেরকে আবার ইসলামী ছাত্র শিবির হিসেবে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
যেমনটি দেয়া হয়েছিল একাত্তরের নরঘাতকের দল পাকবাহিনীর দোসর জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য সাম্প্রদায়িক ইসলামী দলগুরেঅকে যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করেছিলেন।
একটি কথা বলতে ভুলে যাবো তাই না বললেই নয়- আমাদের শ্রদ্ধেয় বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক, কিশোরদের বা ছোটদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছোট বইটির সংকলয়িতা শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবালের প্রতি আবারো সশ্রদ্ধ প্রণতি জানাই এজন্য যে, তিনি সেই চরম প্রতিকুলতার মধ্যেও প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদেরকে রাজাকার বলে পরিচয় দিতে ঘৃণা বোধ করে না সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আর যাবেননা।
শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে লোভনীয় চাকরি ছেড়ে এই বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন স্বল্প বেতনে ( বিদেশের তুলনায়) শিক্ষকতা করবেন বলে।
বাংলাদেশে সম্ভবত অনেক জেলাতেই তাঁরা গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-গৌরবোজ্জল ইতিহাস অত্যন্ত সহজবোধ্যভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর তাগিদ থেকে। অনেক সায়েন্স ফিকশন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই লিখে আমাদেরকে কৃতজ্ঞপাশে আবদ্ধ করেছেন।
কিন্তু অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করেছি গত চব্বিশের জুলাই আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে যে জঙ্গী আন্দোলন চলছিল তখন বাংলাদেশের কয়েকটি বড় বই বিপণনকারি প্রতিষ্ঠান অধ্যাপক জাফর ইকবালের বই বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এমনকি কয়েকজন লেখক যারা অধ্যাপক জাফর ইকবালের সান্নিধ্য পেলে ধন্য হতেন, নানা প্রশংসা করতেন তাদের কয়েকজন জাফর ইকবাল স্যারকে বয়কট করার ঘোষণা দিলেন।
অথচ তারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করেন, ফায়দাও নিয়েছেন এসব বলে।
*হিজাব হিজাব শ্লোগানে আতংক তৈরী।
ডাকসু নির্বাচনী ফলাফল যখন সিনেট ভবনে ঘোষণা করা হচ্ছিল তখন ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীরা যে উন্মত্ততায় ‘ হিজাব হিজাব ‘ বলে অশ্লীলভাবে চিৎকার করছিলেন তাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আর বিশ্ববিদ্যালয় মনে হয়নি।
মনে হয়েছিল একটি ‘ বিশ্ব মাদ্রাসা’ হিসেবে। এখন শুধু অপেক্ষা- এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা কি নিজেদেরকে বস্তাবন্দী করে রাখবেন না বেগম রোকেয়া, বীরকন্যা প্রীতিলতার অলোকবর্তিকাকে ধারণ করার মত দুঃসাহস দেখাবেন?
যেসব শিবিরের সদস্য বা ক্যাডাররা হিজাব হিজাব বলে তারস্বরে চিৎকার করছিল তারা কিন্তু হিজাব পড়বেনা। পড়াবে কিন্তু মেয়েদেরকে।
*ঢাবিকে মাদ্রাসা তৈরীতে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদান।
আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কিন্তু অনেক অবদান রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বড় মাপের বা বিশ্ব মাদ্রাসা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে।
নিশ্চয়ই এজন্য সেই কওমী মাতা শেখ হাসিনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন সেইসব জঙ্গীরা যারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে, দেশ থেকে উৎখাত করেছেন।দেশের পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হঠাৎ করে ইসলামী সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী-সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ঘাঁটি হয়ে উঠছিল ধীরে ধীরে তা একেবারেই নজরে আসেনি শেখ হাসিনার শুভানুধ্যায়ী আওয়ামী নেতা-বুদ্ধিজীবীদের ?
কওমী মাদ্রাসাসহ অন্য মাদ্রাসাগুলো থেকে যেসব শিক্ষার্থী পাশ করে আসেন তাঁরা তাদের পরীক্ষায় যে বিপুল পরিমাণ ফলাফল নম্বর নিয়ে এসে ভর্তি হয় তা কিন্তু সাধারণ কলেজ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ পায়না।
ফলে সাধারণ স্কুল-কলেজ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে ভর্তির ক্ষেত্রে। অথচ যোগ্যতা না থাকা স্বত্ত্বেও মাদ্রাসা থেকে অধিক নম্বর নিয়ে পাশ করা শিক্ষার্থীরাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জেঁকে বসেছে।
আর শেখ হাসিনাতো ‘ কওমী ভোট’ এর আশায় তাদের মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে বসে আছেন। পক্ষান্তরে তিনি পেয়ে গেলেন “কওমী মাতা” উপাধি। কিন্তু শেখ হাসিনা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে, “ তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে”।
অবশ্য এরা গোকুলে বড় হয়নি, বড় হয়েছে ইসলামী জঙ্গী তৈরীর কারখানা হিসেবে পরিচিত মাদ্রাসাগুলোতে।যেগুলো এক একটি জঙ্গী তৈরীর মিনি ক্যান্টনমেন্ট। এর পাশাপাশি সারাদেশে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধে সম্বলিত ৫৬০ টি ‘ মডেল মসজিদ’ গড়ে তুললেন। এসব মাদ্রাসা ও মসজিদের নিয়ন্ত্রণ কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের।
কিন্তু সারাদেশে কোথাও কিন্তু মডেল মন্দির গড়ে তোলা হয়নি সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রধর্ম বাংলাদেশে।
ঢাকা বিশ্বদ্যালয়েরই ইতিহাস বিভাগের প্রবীণ শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেছেন- এইসব মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি উচ্চতর ( সিনিয়র) মাদ্রাসায় পরিণত হয়ে গেছে।
তিনি বরং মাদ্রাসাকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিজ্ঞানভিত্তিক মূলধারার শিক্ষার সাথে সন্নিবেশিত করার দাবি জানিয়েছেন বার বার। কিন্তু কে শোনে কার কথা !
*মিনি সংসদ ডাকসু।
ডাকসু একসময়ে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনই শুধু নয় এদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছে। আর এই ডাকসু নেতারাই পরবর্তীতে দেশের রাজনীতির হাল ধরেছেন। জাতীয় রাজনীতির হাল ধরেছেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং পরে কখনো একাত্তরের পরাজিত ঘৃণিত অপশক্তির কাছে ডাকসুর নেতৃত্ব যায়নি।
কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিভিন্ন দলের মধ্যে ঘাঁপটি মেরে বসেছিল। আর সেখান থেকেই তাদের সব ষড়যন্ত্রের জাল পাকিয়ে বাস্তবায়ন করছে মাত্র। এরা নাকি ছাত্রলীগের লুঙ্গির তলায় ছিল। সেখান থেকে তারা ঠিকই বের হয়ে ছোবল দিয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে এরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও দেখা করেছে, তখন তারা শেখ হাসিনা বলতে অজ্ঞান ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ছবিও রয়েছে।
*পাকিস্তানী ষড়যন্ত্র সফল হয়েছে।
ডাকসু’তে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিজয়ে পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী যারপরনাই খুশি ও আনন্দে উদ্বেলিত।
বুধবার পাকিস্তান জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই সাফল্য বাংলাদেশে নির্মাণ ও উন্নয়নের এক নতুন যুগের সূচনা প্রমাণ করবে, জাতীয় জীবন ও গণতন্ত্রে ছাত্র ও যুবকদের ভূমিকার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে এবং ভারতীয় ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির পথে অগ্রসর হবে। ইনশা আল্লাহ।’
এর আগে এক্সেই শিবিরকে অভিনন্দন জানান পাকিস্তান জামায়াতের আমির নাইম উর রহমান। পরে অবশ্য তার সেই অভিনন্দনবার্তা মুছে ফেলা হয়।
সেই বার্তায় নাইম উর রহমান লেখেন, ‘বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ! দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বিজয় অর্জন করেছে। পুরো প্যানেলই বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটল।’
এক্সে দেওয়া বার্তায় পাকিস্তান জামায়াতের আমির বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলো ভারতপন্থী শক্তির সম্মিলিত সমর্থন পেয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এই সাফল্যের জন্য ইসলামী ছাত্রশিবিরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ইনশা আল্লাহ, এই বিজয় শুধু ছাত্র ও যুবসমাজের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে না, বরং বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি দিতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে।’
তার মানে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার যত চিহ্ন-ইতিহাস আছে তার সব কিছুই ধ্বংস করার যে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর যে ষড়যন্ত্র অনেক আগে থেকেই কাজ করছিল তা সফল হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের জয়ের ফলে পাকিস্তান তাদের ষোলকলার অষ্টকলা পূরণ করতে পেরেছে বলেই তাদের কথায় প্রমাণিত হলো।
*জুলাই-আগষ্টে পাক-মার্কিন ষড়যন্ত্র সফল হওয়ায় খুশী ডাকসু ভিপি।
ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি অত্যন্ত সুচতুর গিরগিটি সাদিক কায়েম বলেন, “জয় অথবা পরাজয়ের কিছু নেই। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাইয়ের প্রজন্ম বিজয়ী হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা, শহীদদের আকাঙ্খা বিজয়ী হয়েছে।”
তার এই কথায় পাকিস্তানী জামায়াতে ইসলামীর বার্তার সাথে বেশ মিল পাওয়া যায়। এই সাদিকতো জুলাই-আগষ্টে পুরোটা পেছনে থেকে কথিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেপথ্য কলকাঠি নেড়েছেন। দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
পাক-মার্কিন-তুরষ্কের যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল তা বাস্তবায়নে নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছিল সাদিকসহ আরো কয়েকজন শিবির নেতা। আর সেই জুলাই প্রজন্ম তো জামাত-শিবিরসহ ইসলামী ছাত্র সংগঠনগুলোই মূলত সেনাবাহিনীর একটি অংশের সঙ্গে মিলেমিশে একটি জঙ্গী ক্যু করেছে মাত্র।
আর এটিকেই তারা জুলাই বিপ্লব বা গন আন্দোলন বলে বাহবা নিতে চাইছে।এজন্যই সাদিক কায়েম বলছেন ‘ জুলাই প্রজন্ম’ বিজয়ী হয়েছে।
হ্যাঁ সাদিক স্বীকার করে নিয়েছেন যে , এই যে পুলিশ হত্যা, বিভিন্ন স্থানে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে হত্যা, থা্নায় আগুন দিয়ে পেুলিশকে পুড়িয়ে খুন করা, পুলিশকে মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা, মেট্রো রেলে আগুন দেয়া, টেলিভিশন ভবন পুড়িয়ে দেয়া, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন লুটপাট, সংসদ ভবন লুটিপাট অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নাশকতা তো তাদের সেই কথিত জুলাই প্রজন্মই করেছে। আর এতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদত দিয়েছে মার্কিন-পাক-তুরষ্ক। পাকিস্তানও এখন খুশীতে ডগমগ।
যদিও এক্সে পোষ্ট দিয়ে আবার তা উইথড্র করে নিয়েছে পাকি জামাতীরা অজ্ঞাত কারণে। তবে এসবের অনেক স্ক্রিন শট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তবে এই ডাকসু নির্বাচনী ফলাফল অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা করছেন অনেকে । আবার বিপরীতও হতে পারে। তবে সবকিছু মিলে বাংলাদেশকে এখন শুধু পাকিস্তান ঘোষণাটিই বাকী রেখেছে।
# নুরুল ইসলাম আনসারি, লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক।