ঢাকা: ইসি জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা চায় না, ভোট চুরির ব্যবস্থা আগে থেকেই করে ফেলা হচ্ছে। তাছাড়া চোরের ডাকসু নির্বাচন হবে জাতীয় নির্বাচনের রোল মডেল বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বোঝাই যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কী হতে চলেছে।

এবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ডাকসু নাকি ভালো হয়েছে।

সর্বকালের সেরা কারচুপি ভোট হয়েছে ডাকসু। ভোট বাক্স আগের থেকেই ভর্তি ছিলো। শিবিরের ধর্ম তো সবাই জানে। রাজাকার শিবির এবার সুযোগ পেয়ে গেছে দেশকে গিলে খাওয়ার। প্রশাসন, সরকার শিবিরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

এদিকে, পূর্ব পাকিস্তানের প্রিয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডাকসু নির্বাচন হলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের ড্যামো।

অথচ এটা যে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না, সেটা এই উপদেষ্টা নামক অপদেষ্টাদের চোখে পড়েও পড়ে না।

স্বৈরাচারীর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ওরফে জোকার জাহাঙ্গীর বলেছেন ‘ডাকসু নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না।’

আবার কি যেন ভেবে পরক্ষণেই তিনি বলে উঠলেন ‘ডাকসু, জাকসুসহ যেসব নির্বাচন হচ্ছে এগুলো জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।’

এর কথা শুনে জনগণ শিউরে উঠছে।

ডাকসুতে কী ঘটেছে জাহাঙ্গীর জানেন তো? জানেন প্রেস সচিব?

ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পান শিবির প্যানেলের ভিপি-জিএস সাদিক কাইয়ুম এবং এসএম ফরহাদের ব্যালট আগে থেকে পূরণ করা।

টিএসসির কেন্দ্রে ভোটারের ব্যালেট পেপারে দুই পদে টিক চিহ্ন দেওয়া ছিল ,এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন সহকারী প্রক্টর এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।

আরো দেখা যায়, ভোট গণনার সময় একই কক্ষে শিবিরের সাদিক কাইয়ুমের অবস্থান। এ ঘটনাটি জানা জানি হলে, অন্যান্য প্রার্থীরা সেখানে প্রবেশ করতে চায় এবং প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হয়। এখানে স্পষ্ট প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ স্পষ্ট।

এখানেই শেষ না, জামাত শিবির পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে ভোট দিতে আসা একজন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এবারের ডাকসু নির্বাচনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর অভিযোগ উঠেছে।

প্রেস সচিব বলেন, ভোট বানচালের ক্ষমতা কারো নেই। তিনি মনে করেন, সবদল সৎ থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কোনো বাধা নেই, দেশের মানুষ উৎসব ‍মুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসবে।

দেশের অস্থির অবস্থায় তিনি বলেই চলেছেন নিজের কথা।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতা দেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, তার একটা প্রতিফলন দেখা গেছে ডাকসুতে।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো পক্ষপাতিত্ব করবে না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়সূচি থেকে কেউ সরে আসতে চাইলে তা জাতির জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে।

তিনি জানান, নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় ৮ লাখ পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *