কক্সবাজার: বিএনপি, এনসিপির জঙ্গীরা সব জায়গায় আছে! কক্সবাজারে স্টেডিয়াম ভাঙচুর হয় ও ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পেছনে ছাত্রদল-এনসিপি নেতাদের ধান্দাবাজি রয়েছে।
ক্রীড়াক্ষেত্র এখন পরিণত করা হচ্ছে রণক্ষেত্রে। কক্সবাজার ডিসি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিলো শুক্রবার। এই উপলক্ষে স্টেডিয়ামে ধারণক্ষমতার চেয়ে ৫ গুণ বেশি টিকেট বিক্রি করেছে সিন্ডিকেট। এছাড়াও প্রচুর নকল টিকেট বিক্রি হয়েছে।
এরপরেও ফাইনাল খেলা সম্পন্ন করতে না পারায় দর্শকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কয়েক দফায় সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হয় এই স্টেডিয়াম। কক্সবাজারের ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের জন্য আধুনিক-উন্নতমানের সবরকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছিলো।
অথচ, এতো সুন্দর স্টেডিয়ামটি আজ ভেঙ্গে চুরমার করা হয়েছে। নষ্ট করে ফেলা হয়েছে খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম, প্রেস রুমসহ অফিস কক্ষগুলো।
মূলত, ৫ই আগস্টের পর সিন্ডিকেট করে কক্সবাজার ক্রীড়া সংস্থা নিয়ন্ত্রণ নেয় বিএনপি-জামাত ও এনসিপির নেতারা।
এই জঙ্গীরা ঝামেলা লাগায়।
টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপনার নামে যুবদল-ছাত্রদল-এনসিপির নেতারা টিকেট বিক্রির ইজারা নিয়ে ‘টিকেট সিন্ডিকেট’ করে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে কক্সবাজার জেলার সাধারণ জনতা।
সর্বোচ্চ ১০ হাজার ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়। প্রতিটি টিকিটের দাম ৫০ টাকা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিকিট বিক্রি হয়েছে ২-৩ শ টাকায়।
সবদিকে এই সন্ত্রাসীরা নিজেদের পকেট ভর্তি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
টিকিট বিক্রির প্রায় ৪০-৫০ লাখ টাকা ভাগাভাগি করেছে এনসিপি ও ছাত্রদল নেতারা।
জানা যাচ্ছে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও ছাত্রদল নেতা রিদুয়ান, এনসিপি নেতা আরিয়ান ফারাবি, এনসিপি নেতা শামিম ফরহাদ, ছাত্রদল নেতা শাফায়েত মুন্না , ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম বাবু এবং ছাত্রদল নেতা ফাহিম এই ভাগাভাগি, ধান্দাবাজিতে জড়িত।