ঢাকা: জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের সহিংসতার ঘটনায় আওয়ামী লীগের শত শত কর্মী ও সমর্থকের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে।

যার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ কয়েক মাস ধরে জামিন ছাড়া কারাগারে রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ বা মিছিল করার জন্যও শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি চলছেই।

যে পুলিশ বাহিনীর সহকর্মীরা জুলাই- আগস্ট শহীদ হয়েছেন-যারা নিজেরাই একাধিকবার সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন- তারা আজ যন্ত্রণার দিনগুলো ভুলেছেন।

অবশ্য তাঁদের অনেককেই ছাঁটাই করা হয়েছে। এখন পুলিশে ঢুকানো হচ্ছে জামাত শিবিরকে।

তাই স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের-গ্রেপ্তার করছে ইউনূসের অবৈধ পুলিশ।

এইবার রাজধানীর বাংলামোটরে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের অভিযোগে চারজনসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে (ডিবি)।

আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্নস্থান থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য রোমান আহমেদ (৩২), আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য সঞ্জীব ইসলাম আফেন্দী (৩৫), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সদস্য নাবেদ আহমদ নব (২৫), কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার ছাত্রলীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান (৪০), আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৫৫), তেজগাঁও থানা যুবলীগের ২৬ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন (৪০) ও আওয়ামী লীগের বংশাল থানার ৩৩ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সানাকাত (৩৮)।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ডিবি-তেজগাঁও বিভাগ রাজধানীতে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে রোমান আহমেদ, সঞ্জীব ইসলাম আফেন্দী, নাবেদ আহমদ নব ও মো. মিজানুর রহমাকে গ্রেফতার করা হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *