ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাস করেছে জঙ্গীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামক মাদ্রাসায় শরিয়া আইন জারি! হাফ প‍্যান্ট পরা কর্মচারী থাকায় তাঁকে হুমকি দেয়া হলো।

ছেলেদের দাড়ি টুপি জোব্বা এবং মেয়েদের বোরকা হিজাব বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

অবশ্য আধুনিক স্মার্ট ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সত্যিকারের মেধাবী ছেলে মেয়েরা এখন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামক মাদ্রাসায় পড়ে না।

শিবিরের মব সৃষ্টি। হাফ প্যান্ট পড়া যাবে না, হাফ প্যান্ট পড়তে হলে টাখনুর উপর পড়তে হবে বলে হুশিয়ারি দিলেন মাস্টারদা সূর্যসেন হলের শিবির সমর্থিত ভিপি মোহাম্মদ আজিজুল হক।

এদিকে সিনেট ভবনে হিজাব বলে স্লোগান দেয়া হয় সেটারও বাস্তবায়ন আসছে। হিন্দু মেয়েদেরও হিজাব পড়তে বাধ্য করা হবে। তাছাড়া তো এর বাইরে আর কিছু হবার নেই।

এটা উদার প্রগতিশীল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটা এখন শুধুই তামিরুল মিল্লাত বিশ্ব মাদ্রাসা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন বিশ্বাসঘাতকের আস্তানায় পরিণত হলো। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তে অলিখিতভাবে ক্যাম্পাসে ছাত্র শিবিরের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের নামে ইতিহাসের কালো অধ্যায় লিখে দেওয়া হয়েছে, ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে।

ডাকসুতে শিবিরের বিজয় অগণতান্ত্রিক বিজয়। এটা ভোট ডাকাতির, কারচুপির, রাতের আঁধারে আঁতাতের এক নোংরা নিদর্শন।

স্বাধীনতার সূতিকাগার আজ অপমানিত।

যে শিবির একদিন মুক্তিযুদ্ধের শত্রুপক্ষের অনুগত ছিল, তাদের হাতে ডাকসুর জয় মানে ইতিহাসের বুকে বিষ ছড়িয়ে দেওয়া।

ইউনূস গদিতে বসার পর থেকেই ইতিহাসকে চড় মারছে, এখন শেষ পেরেকটা ঠুকে দিলো।

ডাকসু নির্বাচনের বৈধতা দিয়ে দেশেকে পাকিপন্থি করে তুললো। যে ডাকসু একদিন ছিলো মুক্ত চিন্তার, প্রতিবাদের প্রতীক ছিল, সেটি আজ বিশ্বাসঘাতকতার আস্তানায় পরিণত হলো।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *