ঢাকা: আইন, আদালত কিনে নিয়েছে ইউনূস বাহিনী। চিন্ময় প্রভুর জামিন হয় না, চিন্ময় প্রভু কোনো দোষ না করেও জেলে আছেন দিনের পর দিন, শাস্তি ভোগ করছেন। তাঁর ছাড়া নেই, অথচ এই দাগী দাগী আসামিরা আজ রাষ্ট্রের মাথা হয়ে বসে আছেন!

মামলাগুলোর রায় একে একে পাল্টে যাচ্ছে। আদালতের খালাস যেন ইতিহাসকে মুছে দিতে চাইছে।

তারেক, বাবর, মির্জা ফখরুলের ঘটনাগুলো দেখিয়ে দিচ্ছে—বাংলাদেশে ন্যায়বিচার আর রাজনীতির সীমারেখা কতটা ভঙ্গুর। ক্ষমতা আর প্রভাব থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেঁকিয়ে নেওয়া যায়।

আর তাতে সবচেয়ে বড় আঘাত লাগে সেইসব মানুষের স্মৃতিতে, যারা একসময় এই দণ্ডহীনতার সংস্কৃতির শিকার হয়েছিল।

যথেষ্ট ক্ষমতা, সংযোগ আর ধৈর্য থাকলে ইতিহাস বদলে ফেলা যায়, অপরাধ ধুয়ে ফেলা যায়। ভয়াবহ বার্তা দিচ্ছে বাংলাদেশ।

ঢাকার দুই থানার নাশকতার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

রাজাকারের সন্তান এই মির্জা ফখরুল। জানে গোটা দেশ।

সোমবার ঢাকার হাকিম ও জজ আদালতের দুই বিচারক তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ জানান।

এর মধ্যে ২০১৯ সালে ‎ঢাকার শাহবাগ থানা এলাকায় যানবাহন পোড়ানোর মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৭৭ জনকে অব্যাহতির আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ।

অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নীরব ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *