ঢাকা: এমন কত যে জুলাই শহীদ বানানো হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। এর আগে এমনও তথ্য পাওয়া গেছে, একজন ব্যক্তিই একই সময়ে দু জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, মামলাও হয়েছে দুটো!

এমন বহু ঘটনা দেখা গেছে। একই ব্যক্তির একই সময়ে দুই স্থানে থাকা ও আহত হওয়ার দাবি আইনজীবীদের চোখে “অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও নজিরবিহীন”।

খুলশী থানার ওসি মো. আফতাব হোসেন বলেছিলেন, “একই ঘটনায় একাধিক মামলা হতে পারে না। একই ব্যক্তি একই সময়ে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হওয়াও অসম্ভব”!

আসলে জুলাই নিয়ে দেশজুড়ে চলছে ব্যবসা। দেখা গেছে ভাইয়ে ভাইয়ে কোন্দল সম্পত্তি নিয়ে, এক ভাই বলে দিচ্ছে নিজের আরেক ভাই জুলাই শহীদ। ফলে তাঁর ভাগের সম্পত্তি তিনিই হরপ করছেন, এমন ঘটনা ময়মনসিংহে ঘটেছে। কী অদ্ভুত রীতিনীতি!

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, জুলাই শহীদের নামে ভুয়া তালিকার গেজেট আর জাতিসংঘকে ভুল তথ্য দিয়ে রিপোর্ট বানিয়েছিল ইউনুস।

এই জুলাই শহীদের নাম দিয়ে করেছে হাজার হাজার ভুয়া মামলা আর সেই মামলায় লাখ লাখ আসামী।

ইউনুসের সংস্কারের নমুনা দেখেছে বাংলাদেশ। এখন একে একে প্রকাশ পাচ্ছে তার মিথ্যাচার।

স্বৈরাচার, ভয়ানক হিংস্র আর মিথ্যুক এই পাপেট সরকারের পতন চায় বাংলাদেশের মানুষ।

উল্লেখযোগ্য যে, গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত নয় এমন ৫২ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। অথচ তাদেরকেও জুলাই শহিদ বলা হচ্ছে। জঙ্গী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ানোর টেকনিক।

দেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো তাদের অনুসন্ধানে এমন তথ্য তুলে ধরেছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ।

জুলাই শহীদদের নিখুঁত তালিকা করার জন্য গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভয়েস বাংলা নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে এমন মন্তব্য করেন সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ।

তিনি বলেন, ‘কী দুর্ভাগ্যজনক খবর, জমির বিরোধে খুন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু—তবু তারা জুলাই শহীদ। ৫২ জন শহীদের তালিকায় আছে তারা আসলে এই জুলাই প্রকৃত যুদ্ধে শহীদ হননি। এক বছর আগের সেটাই আমরা ঠিক করতে পারলাম না।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে প্রায়ই বলি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ঢুকে গেছে, কে মুক্তিযোদ্ধা, কে মুক্তিযোদ্ধা না আমরা সন্দেহের মধ্যে থাকি। আর এখন জুলাই শহীদ, জুলাই যোদ্ধা আপনি কিভাবে চিনবেন।’

মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘এর জন্য দায় কার? জুলাইতে যারা নেতৃত্ব দিল, তারা চলে গেল রাজনৈতিক দল গঠন করতে। অথচ মূল দায়িত্বটা নেওয়ার দরকার ছিল তাদের, নিল না তারা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *