ঢাকা: ডাকসু ফলাফলে এমন অস্বাভাবিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখানো হয়েছে যেন পুরো ক্যাম্পাসই শিবিরের পক্ষে।

শিবির পরিচালিত কোচিং সেন্টার থেকে ভাড়া করা ছাত্রছাত্রী, বাহ্যিক ভূয়া ভোটার ও প্রশাসনিক অংশীদারিত্ব এগুলো মিলিয়ে গড়া হয়েছে একটি দুষ্কৃতিমূলক যন্ত্র।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতার অভাব বা সরাসরি সহযোগিতা ছাড়া এত ব্যাপক জালিয়াতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শক্তির হাতিয়ার বানিয়েছে, তারা দেশের গণতন্ত্রকে বিক্রি করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্কিত হয়ে গেছে। জঙ্গী শিবির দখলে নিয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ থাকলেও কার্যত নীরবতা তাদের রাজনৈতিক আচরণকে সন্দেহের আওতায় এনে দিয়েছে। নীরবতার এই ছায়া অনেকের মনে প্রশ্ন জাগাচ্ছে এই নীরবতা কি কোনো গোপন সমঝোতার প্রতিফলন, নাকি ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থের টান?

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করার আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পরাজিত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন তিনি।

আবেদনে তিনি লিখেছেন, আমরা স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পক্ষ থেকে সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর নির্বাচনকেন্দ্রিক স্বচ্ছতা যাচাইকরণের উদ্দেশ্যে প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটদাতাদের তালিকার কপি, ওএমআর মেশিনের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি পুনরায় ভোটগণনা এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশের সিসিটিভি ফুটেজ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার অনুরোধ করছি।

আর এই ডাকসু নাকি জাতীয় নির্বাচনের রোল মডেল বলেছেন আমাদের মিথ্যাবাদী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তাই যদি হয়, তাহলে এই ডাকসু নির্বাচনের জালিয়াতি শুধুমাত্র ক্যাম্পাসের ব্যাপার নয় এটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য এক ভয়ানক রিহার্সেল।

যদি একই কৌশল জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে দুর্বল করে স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী সহজেই ক্ষমতায় পৌঁছাতে পারবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *