ঢাকা: এক বছরে গোছানো দেশটা ধ্বংস করে ফেলেছেন ইউনূস। ২০২৬ সালে বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাড়বে মূল্যস্ফীতি, দেখা দেবে রাজস্ব ঘাটতি!
কিন্তু কেন এমন পূর্বাভাস দিচ্ছে আইএমএফ? আর কেনই বা তলানীর দিকে হাঁটছে বাংলাদেশের অর্থনীতি?
তার উত্তর আমাদের সবার জানা। শিল্প নেই, কারখানা একটার পর একটা বন্ধ হচ্ছে, শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছে না, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দেশ আজ কোনোদিকে ভালো নেই।
এখানে কেবল একটা জিনিস খুব ভালো হচ্ছে, সেটা হলো জঙ্গী চাষ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ ভয়ংকর এক সঙ্কটে নিমজ্জিত। এক বছরেরও কম সময়ে অবৈধ ড. ইউনুস সরকারের শাসন জাতীয় অর্থনীতিকে এমন এক গভীর অচলাবস্থায় ঠেলে দিয়েছে, যা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন হবে দীর্ঘ সময় ও সুপরিকল্পিত সংস্কার।
শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় গড়ছে, অথচ নিজেরা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারছে না। বাস্তবে অর্থনীতির চিত্রই প্রমাণ করছে তাদের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও ধ্বংসযজ্ঞের নির্মম সত্য।
ইউনুস সরকারের উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ তুলেছে। অথচ এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করা যায়নি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি কেবল জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘোরানোর কৌশল।
জনগণের চোখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে কী হবে? ক্ষতিটা সেই জনগণেরই শেষে।
অবৈধ সরকারের অব্যবস্থাপনা ও নীতিহীনতার কারণে দেশের অর্থনীতিতে কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি বিগত দুই দশকের অর্জনকে মুছে দিয়েছে।
ইউনূস গদিতে বসার পর বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ গুণে শেষ করা যাবে না।
দুর্নীতি ও অদূরদর্শিতার কারণে আজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সূচকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছে।
অর্থনীতির পতন, বিনিয়োগের ভাটা, জঙ্গীবাদের উত্থান এবং দুর্নীতির পাহাড়— সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে।