ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুর শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দিরের দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের পর দেশটিতে আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার।

কুষ্টিয়ায় প্রতিমা ভাঙচুরের পরেই তড়িঘড়ি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করলেন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। তবে ক্ষততে কী প্রলেপ দিলে হয়?

হামলাকারীরা প্রমাণ ঢাকতে ওই মন্দিরের ক্যামেরা খুলে নিয়ে পালায়। তবে প্রমাণ পেলেও আর কী হতো? ইউনূসের প্রশাসন তো আর গ্রেপ্তার করবে না দোষীদের।

এদিকে ইউনূসের বক্তব্যে পুরো নিরপেক্ষতা।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এমন বাংলাদেশ তিনি দেখতে চান, যেখানে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার আয়োজন করতে হয় না।

“আমরা চাই না নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে থেকে ধর্ম পালন করতে। আমরা চাই নাগরিক হিসেবে মুক্তভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে। এ অধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।“

শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তার আগে তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সমান মর্যাদার অধিকারী এবং ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে কোনোভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না।

“আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। পুরো জাতি একটি পরিবার। পরিবারের ভেতরে মতভেদ থাকতে পারে, ব্যবহারের পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু পরিবার একটি অটুট জিনিস—এটাকে কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা যেন জাতি হিসেবে এই অটুট পরিবার হয়ে দাঁড়াতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”

তিনি বলেন, “যত ধর্মীয় পার্থক্য থাকুক, মতের পার্থক্য থাকুক, রাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই বৈষম্য করার। রাষ্ট্র দায়িত্ববদ্ধ সবাইকে সমান মর্যাদা দেওয়ার জন্য। সে যেই ধর্মেই বিশ্বাস করুক, যে মতবাদেই বিশ্বাস করুক, ধনী হোক কিংবা গরিব–রাষ্ট্রের কাছে সে একজন নাগরিক। নাগরিকের সকল অধিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ আছে”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *