বাংলাদেশের সংবিধানে লেখা আছে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন। আবার রাষ্ট্রীয় মূলনীতির একটি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা।
গোঁজামিলে ভরা একটি জগাখিঁচুরি সংবিধান করে রেখেছে। মানুষ ধর্ম চর্চা করে জানি।
মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডা বা অন্য কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। কিন্তু কোন রাষ্ট্র কিভাবে ধর্ম পালন করে জানিনা। কিন্তু সেটাই রয়েছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির।
রাষ্ট্রধর্ম যদি ইসলাম হয় তাহলে সাংবিধানিকভাবেইতো সেখানে ইসলামের প্রতি পক্ষ নেয়া হয়ে গেলো। তাহলে সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ ,খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করবে কিভাবে? এ যেন সেই সোনার পাথরবাটি !
এভাবেই বাংলাদেশের নাগরিকদের বিশেষ করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদেরকে চরম বৈষম্যের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। তা সে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি দল আওয়ামীলীগ বলুন বা অন্য যে কোন রাজনৈতিক দলের কথাই বলুন না কেন। এরা সবাই মুখে বলবে অসাম্প্রদায়িক, ধর্মীয় সম্প্রীতি, সংবিধান অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার ইত্যাদি ইত্যাদি। সবই মূলত কথার ফুলঝুড়ি।
কাজের কাজ হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছাড়া অন্য সব ধর্মকেই অবদমিত করে রাখা হয়েছে। সবই বৈষম্যের শিকার। আর গত চব্বিশের জুলাই-আগষ্টে যে বৈষম্য দূর করার কথা বলেছিল কথিত বৈষম্যবিরোধীরা তারা বরং আরো বেশি করে এই বৈষম্যকে প্রকট করে তুলেছে।
এ মাসের ১০ তারিখ একটি লেখায় লিখেছিলাম-মুসলমানের লাশ মুসলমানে পোড়ায়! তো হিন্দুদের আর জায়গা কোথায় বাংলাদেশে? এই সরকার মানে বর্তমান জঙ্গী ইউনুস সরকার মুখে সম্প্রীতির কথা বললেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
সেই লেখাটিতেই বলেছিলাম-বাংলাদেশে শারদীয়া দুর্গা পূজা আসছে তা বোঝা যাবে পূজার প্রতিমা ভাংচুর ও পূজামন্ডপ ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে।
সে বিষয়টি যে এত দ্রুত প্রমাণিত হবে তা ঠিক বুঝতে পারিনি। এরই মধ্যে কুষ্টিয়া ও নেত্রকোনা জেলায় পুজামন্ডপে প্রতিমা ভাংচুরের খবর এসেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।
একটু সেই সংবাদের দিকে চোখ বুলাই আমরা। প্রথম আলো পত্রিকাটি তাদের নেত্রকোনা প্রতিনিধির বরাত দিয়ে বলেছে- নেত্রকোনা সদর উপজেলার কান্দুলিয়া কালীবাড়ি পূজামন্ডপে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর ) রাত তিনটার পর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টার মধ্যে যেকোন সময়ে দুর্বৃত্তরা দুটি প্রতিমা ভাংচুর করেছে।
এরপর যথারীতি স্থানীয় মুসলিমরাও বলেছে- এটি খুব গর্হিত কাজ, এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা হোক, ইত্যাদি ইত্যাদি। নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও তার সরকারি ভাষ্যে বলেছেন-বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা।
অপরদিকে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ পালপাড়া শ্রী শ্রী রক্ষাকালীবাড়ি মন্দিরে দুর্গা পুজার প্রতিমা ভাংচুর করেছে।
এই ভাংচুরকারিদের যাতে শনাক্ত করা না যায় সেজন্য তারা মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরাও নিয়ে গেছে। এই পূজামন্ডপে হামলার সময় হামলাকারিরা পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করে সেই অন্ধকারের মধ্যেই ভাংচুর করেছে।
ঘটনার পর এলাকার হিন্দুরাও আতংকে আছে বলে জানিয়েছেন। আতংকে থাকাটাই স্বাভাবিক। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি(!)র খবর জানাজানি হলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আগমন বেড়ে গেছে।
তারাও নানা আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন। যেমনটি বাংলাদেশের হিন্দুরা অন্তত গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে শুনে আসছে।
দুষ্ট সমালোচকরা অবশ্য এই প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাগুলোকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই দুর্গাপুজা উপলক্ষে নতুন বন্দোবস্তের সরকার ড. ইউনুসের উপহার হিসেবেই আখ্যা দিচ্ছেন।
এমনতরো পরিস্থিতিতে আমাদের শান্তির নোবেল প্রাপ্ত মাহামান্য প্রধান উপদেষ্টা ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু নেতার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
অনেকেই বলছেন, এটি মূলত তার সময়কালে গতবছর ও এবছর বিভিন্ন মন্দিরে হামলা, হিন্দুদের ওপর নানা হামলার ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন দিকে ঘোরানোর একটি ‘ দুষ্ট কৌশল’ হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন।
তাদের বক্তব্য হলো – মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাটিকে প্রলেপ দেয়ার জন্যই ইউনুস ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছেন। আর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারাও গদগদ হয়ে গেছেন তাতে। সেখানেও জুটে যায় তেলবাজ কিছু হিন্দু নেতা ।
এ ধরনের তেল অবশ্য প্রতি সরকারের সময়েই দিয়েছেন এসব নেতারা। হয়তো তাতে বিশেষ কিছু সুবিধেও জোটে তাদের জীবনে।
অথচ গত চব্বিশের জুলাই-আগষ্টে সংঘটিত ‘ জঙ্গী-সামরিক ক্যু’ এর পরে সারাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা, ভাংচুর, খুনসহ নানা নির্যাতনের ঘটনাবলিকে এই ‘ মেটিকুলাস ডিজাইন’ এর হেডমাষ্টার ড. ইউনুস ও তার অবৈধ-অসাংবিধানিক সরকার পুরোপুরি অস্বীকার করে এটিকে রাজনৈতিক ঘটনা বলে পার পেয়ে যেতে চাইছিল।
কিন্তু সেটি আর নানা কারণেই সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নানা চাপে কিছুটা হলেও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
এই যে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শান্তি-সম্প্রীতি-নিরাপত্তা- নাগরিক অধিকারের বার্তা নিয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস গেলেন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে তখন কি হিন্দু নেতারা একটি বারের জন্যও সন্নাসী চিন্ময় দাস এর গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলেছেন ? তার মুক্তি বা জামিনের বিষয়টি তুলেছেন?
কেউ কি সাহস করে মুখ ফুটে বলার হিম্মত দেখাতে পেরেছেন যে – চিন্ময় দাসকে যে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করলো সেটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য ধারা নয় ? এরপর চিন্ময়কে একের পর এক মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।
অথচ গত চব্বিশের আগষ্ট-সেপ্টেম্বরে সারাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে এই চিন্ময় সাধুই কিন্তু বাংলাদেশে সনাতনী সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
অধিকার আদায়ের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
এখন যেসব হিন্দু নেতারা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের সরকার প্রধান ড. ইউনুসকে তেল দিতে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তারাও কিন্তু গত চব্বিশে ওই চিন্ময়সহ সারাদেশের প্রতিবাদী হিন্দুদের আন্দোলনকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আপনাদের অফিসিয়াল বিবৃতি কিন্তু তাই প্রমাণ করে। অথচ এখন আপনারা সেই যুবক সংসারত্যাগী প্রতিবাদী সাধুকেই ভুলে গেলেন !?
নিশ্চয়ই এর পেছনে কোন কিছু প্রাপ্তির বিষয় রয়েছে বা অন্য কোন স্বার্থ রয়েছে। নাহলে আপনারা এক একটি বড় সংগঠনের নেতা হয়ে কোন দাবি দাওয়া তুললেন না !?
শান্তির দূত (!) প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস গত মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের অনুষ্ঠানে বেশ কিছু মধুর মধুর কথা বলেছেন। যা শুনলে তার সবচেয়ে বড় শত্রুও বিনয়ে গলে যাবেন। আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়বেন।
কারণ কোথায় কি বলে, কাকে কি বলে তুষ্ট করা যাবে তাতো ওই বিশ্ব প্রতারক লোভী ইউনুস জানে বেশ ভালোভাবেই। আমি কিছুটা শোনার চেষ্টা করেছি এই মহামান্য নোবেল লরিয়েটের বক্তব্য।
শুনে মনে হলো- আরে এতো আমারই মনের কথাগুলো বলছেন নোবেল স্যার ! কিন্তু বুঝলাম তিনি যেভাবে বাংলাদেশের গরীব মহিলাদেরকে মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে লোনের ফাঁদে আটকে ফেলেছিলেন ঠিক তেমনি সবজায়গাতেই এত মধুর মধুর কথার মারপ্যাঁচ দেন যে তাতে আটকে যেতে হয়। এ যে একেবারে “নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল’।
ইউনুস সাহেব দেবী দুর্গার দশভুজার ব্যাখ্যাও দিলেন বেশ চমৎকারভাবে এবং বললেন-“ ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে পারবো। আমরা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ধর্মপালন করতে চাইনা। আমরা নাগরিক হিসেবে মুক্তভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে চাই। এটি নিশ্চিত করতে হবে– আমরা এমন একটি দেশ বানাতে চাই। নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে ধর্ম পালন করবো- এটি কোন ধরনের দেশ বানালাম আমরা ?
এটি হাস্যকর একটি বিষয়। এমন দেশ বানানোর জন্য কি আমরা এত ত্যাগ-এত রক্ত দিয়েছি? তাই আমি বলি নিরাপত্তা নয়, বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমরা ধর্ম পালন করতে চাই। এই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মুক্তভাবে ধর্ম পালন করার নিশ্চয়তা চাই।”
বাংলাদেশ নামক দেশটি ধ্বংসের এই হেডমাষ্টার হিন্দু নেতাদেরকে হিপনোটাইজ করার মত করে আরো বললেন-“ ধর্ম নিয়ে যত পার্থক্যই থাকুকনা কেন রাষ্ট্র আমাদের প্রতি পার্থক্য করতে পারবেনা। কারণ রাষ্ট্র দায়বদ্ধ।
যে যে ধর্ম-মতবাদেই বিশ্বাস করুন না কেন রাষ্ট্রের কাছে সে নাগরিক। সংবিধানেই সেই নাগরিকের অধিকার দেয়া আছে। সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা আছে অধিকার। কোন অধিকার নাই রাষ্ট্রের কারো প্রতি বৈষম্য করার। কাজেই যত কথাই বলি নাগরিক হিসেবে অধিকার দিতে হবে.. ইত্যাদি ইত্যাদি।”
নিশ্চয়ই যে কেউ শুনলে হিপনোটাইজ হতে বাধ্য হবেন এই নোবেল লরিয়েট বিশ্বপ্রতারক মুহাম্মদ ইউনুসের কথায়। আপনার-আমার কাছে মনে হবে- আরে এতো দেখছি আমার মনের কথাই বলছে, এর মতো ভালো মানুষ আর হতেই পারেনা।
কিন্তু কি আশার ছলনে ভুলি !
সেজন্যই বলছিলাম বাংলাদেশের সংবিধানের অন্তত কিছু বিষয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাছে সোনার পাথরবাটির মত।
বাংলাদেশে পূজা মণ্ডপে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন হলেও, বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের অক্টোবরে কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পর বিভিন্ন জেলায় মন্দির ও মণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অনেকগুলো মামলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা ও পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, এই ধরনের ঘটনা প্রতি বছরই ঘটছে এবং এর ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিমা ভাঙা হয়, যদিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের তেমন কোন নজির নেই।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও পরিসংখ্যানের উদাহরণ দিলে কিছুটা হয়তো বুঝতে সহজ হবে।
২০২১ এর অক্টোবরে কুমিল্লার একটি পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে তা নিয়ে ধর্মীয় অবমাননার ধুয়া তুলে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়ানো হয়েছিল।
দেশের বিভিন্ন স্থানে পুজামন্ডপ, মন্দির ভাংচুর, হিন্দুদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাটের ঘটনাও ঘটোনো হয়েছে। তৎকালীন সাংসদ বাহারের ইন্ধনেই এসব ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু সেই বাহার চব্বিশে সরকার পতনের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেবছর এসব হামলার ঘটনায় সারাদেশে সম্ভবত ৫০ থেকে ৬০ টি মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু সেসব মামলা কাগজে কলমেই রয়ে গেছে।
তবে ২০০১ এর ১ অক্টোবরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যে হারে হিন্দুদের ওপর হামলা-নির্যাতন, নারী নির্যাতন, ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দেশত্যাগে বাধ্য করার মত অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।
সারা দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্বাচনী সহিংসতা তদন্তে ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মুহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে প্রধান করে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে।
২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল সেই কমিশন একটি বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল। কিন্তু সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এই যে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি তৈরী হয়েছে তা থেকে এ জাতি আর মুক্তি পাবে বলে মনে হয়না। বিশেষ করে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতন- নিপীড়নের ক্ষেত্রে।
# রাকীব হুসেইন, লেখক, প্রাবন্ধিক।