ঢাকা: পুলিশ পরিদর্শকদের এএসপি পদে পদোন্নতি না দিয়ে কৌশলে অবসর দেওয়া হচ্ছে। এটা অবশ্যই দুঃখজনক দেশের জন্যে। এবং কৌশলগত ষড়যন্ত্র রাজাকার বাহিনীর।
একদিকে জোরপূর্বক অবসরে পাঠানো হচ্ছে, আরেকদিকে জামাত শিবিরকে ঢোকানো হচ্ছে।
অবৈধ ইউনুস সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীতে জামায়াত-শিবির ও এনসিপির সদস্যদের প্রবেশ করানোর একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এএসআই নিয়োগের মাধ্যমে ইউনুস সরকার পুলিশ বাহিনীকে জামায়াত-শিবির ও এনসিপির হাতে তুলে দিতে চায়। এই নিয়োগের পেছনের উদ্দেশ্যগুলো হলো-
ক) স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে দুর্বল করা। খ) ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে পুলিশ হত্যার তথ্য ধামাচাপা দেওয়া। গ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশ বাহিনীকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাতে তুলে দিয়ে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করা। ঘ) জামায়াত-শিবিরের সদস্যদের পুলিশ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানো।
নিয়োগ প্রক্রিয়া জামায়াত-শিবিরের হাতে পুলিশ বাহিনীকে তুলে দেওয়ার একটি মাস্টারপ্ল্যান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।
জামায়াত-শিবিরের ইতিহাস, বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে তাদের কথিত ভূমিকা, এই অভিযোগকে আরও জোরালো করে।
তারা দাবি করেন যে, এই নিয়োগের মাধ্যমে সরকার স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশ পুলিশের নয় কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানো হয়েছে।
চাকরির মেয়াদ যদি পূর্ণ হয় তাহলে বাধ্যতামূলক অবসর কেন? চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হলে অবসরে যাবেন এটা তো সিস্টেম। অজুহাত দেখিয়ে সরকার এত কথা বলছে কেন?
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশে জামাত শিবির নিয়োগের কেন্দ্রে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এই ড. নাসিমুল গনি, যিনি ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার নেতৃত্বে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া জামায়াত-শিবিরের হাতে পুলিশ বাহিনীকে তুলে দেওয়ার একটি মাস্টারপ্ল্যান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন এপিবিএনের কেএম আজিজুল ইসলাম, সিআইডির মো. আবদুর রশিদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের ডেভেলপমেন্ট বিভাগের মো. জামাল উদ্দিন মীর, সারদার বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আকবর আলী খান, গাইবান্ধার ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত মো. সিরাজুল হক শেখ, এমআরটি পুলিশের মীর জাহেদুল হক রনি, ৫ এপিবিএনের মো. আসিকুজ্জামান, কক্সবাজারের চকরিয়া সার্কেল অফিসের আজিজুর রহমান ও ঝিনাইদহের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের মো. আসলাম হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।