যশোর: জুলাই শহীদের নামে ভুয়া তালিকার গেজেট বানিয়ে কত নাটক এই সরকারের। জুলাই শহীদের নাম দিয়ে করেছে হাজার হাজার ভুয়া মামলা আর সেই মামলায় লাখ লাখ আসামী।
জুলাই শহীদের নামে এখনো প্রতিদিন গ্রেপ্তারি চলছেই।
ইউনুসের সংস্কারের নমুনা দেখেছে বাংলাদেশ। এখন একে একে প্রকাশ পাচ্ছে তার মিথ্যাচার।
জুলাই এখন হয়েছে ব্যবসা। ব্যবসা করবে, লুটপাট করবে এইকারণেই হয়েছে জুলাই দাঙ্গা।
যশোর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে লুটপাটের পর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে।
দাঙ্গাবাজরা লুটপাট, দাঙ্গা, জঙ্গী হামলা চালায়।
এই ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার এক নাগরিকসহ মোট ২৪ জন প্রাণ হারান।
আর ষড়যন্ত্রের বিষয় হচ্ছে, ওই ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক ছাড়া বাকী অগ্নিসংযোগকারী ২৩ জনের নামই রয়েছে জুলাই শহীদের তালিকায়।
ভাবুন একবার? ভাবুক বাংলাদেশ?
জুলাই শহীদদের তালিকা করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রজ্ঞাপনে এই ২৩ জনের নাম রয়েছে।
দাঙ্গাবাজরা নাকি শহিদ!? জুলাই মেটিকুলাস ডিজাইনে যারা মরেছেও তারা শহিদ নয়। জঙ্গী মারা গেলে শহীদ বলে না। তারপরেও এদের বলা হচ্ছে শহীদ।
উল্লেখযোগ্য যে, জাবির হোটেলটির মালিক যশোর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার।
অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় নিহত ২৩ ব্যক্তির নাম ‘জুলাই শহীদ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত শহীদের তালিকায় এই নামগুলো থাকায় প্রশ্ন উঠেছে তালিকা প্রণয়নের স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড নিয়ে।