ঢাকা: রাজাকারের নাতি পুতি বলাকে অন্য ভাবে ঘুরিয়ে আন্দোলন চাঙা করেছিল দেশদ্রোহী দালালরা।
এরা যে আসলেই রাজাকার, রাজাকারের নাতিপুতি তা তাদের কাজেকর্মে প্রমাণ করে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা তাদের রাজাকার বলেননি। আর যদি বলেও থাকেন, তাহলে সত্যিই বলেছেন।এরা যে রাজাকারের নাতি পুতি, তা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। রাজাকারের নাতি পুতিকে রাজাকারের নাতি পুতি বলেছেন, তা- তো ঠিকই বলেছেন।
এরাই তো স্লোগান তুলেছে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’। কেন?
২০২৪ সালে শেখ হাসিনা’র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ডলারের গন্ধ থেকেই ২০২৪ সালে বাংলাদেশে বার বার নিষিদ্ধ জঙ্গী এবং গুপ্ত সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে উক্ত জেনজি নেতা নাহিদ, আসিফ, সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
জামায়াত যেমন ৪ লক্ষাধিক নারীকে ধর্ষণ করে এখনও কোরআন এর দোহাই দিয়ে বাঁচতে চায় ঠিক তেমনই আসিফ, নাহিদ ও হাসনাত’রা সারজিস আলমকে দিয়ে নতুন নাটক দল এনসিপি ঘোষণা করেছে।
এরা ভালো করেই জানে এরা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠিত দলের নেতা হতে কখনোই পারবে না। গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার ন্যুনতম যোগ্যতা এদের নেই।তাই সংস্কারের নামে যতোদিন এই দেশকে লুটে পুটে খেয়ে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বিক্রি করে দেওয়া যায় তার জন্য মেটিকুলাস ডিজাইনের সর্দার ইউনুসকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
এরা তো সবাই এখন নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এই কয় মাসে কোটিপতি হয়ে গেছে সবাই।
স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি নীল নকশায় পুরো জাতিকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে।
এখনো কী প্রমাণ হয়নি যে এরা
আসলেই রাজাকারের নাতি-পুতি!
কানা কে কানা বললে, আসলেই তো গায়ে লাগে!
এখন তো দেশবাসী দেখলো, কে সঠিক ছিল!
আবু সাঈদ কিংবা মুগ্ধের হত্যাকান্ড তদন্তে জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করেছিলেন শেখ হাসিনা, কিন্তু ৭.৬২ বুলেট ছুড়ে ছাত্রদের হত্যা করলো কারা? সব ষড়যন্ত্র, ডিজাইন।
১৬ই জুলাই আবু সাঈদ হত্যার খবর পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরের দিনই জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি কমিশন গঠন করে দেন।
কিন্তু সরকার সহোযোগিতার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও, লাশের মিছিল কোনভাবেই থামেনি।
৭.৬২ বুলেট আর্মি, পুলিশ কিংবা বিজিবি কোন সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে না। তবে বুলেটের আঘাতে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করলো কারা? পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের যারা পিটিয়ে হত্যা করলো তারা কারা?
সব সত্য এখন প্রকাশ্যে আসছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ এবং ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ আখ্যায়িত করায় সারাদেশের ছাত্রছাত্রীরা অপমানিত বোধ করেছিলেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি পেশ করার সময় তিনি এই কথা বলেন।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
রাজসাক্ষী করা হয়েছে জোরজবরদস্তি।
জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ এবং ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ অভিহিত করে কোটাপ্রথার পক্ষে অবস্থান নেন।
মূলত এই বক্তব্যের মাধ্যমে আন্দোলন কারীদের ওপর আক্রমণের একটি বৈধতা দেওয়া হয়। কারণ, তারা সবসময় দেখেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ন্যায্য আন্দোলন করা হলে তাদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যা দিয়ে আন্দোলনের ন্যায্যতা নস্যাৎ করা হতো।