ঢাকা: বাংলাদেশে সড়কে প্রতিদিন বাড়ছে দুর্ঘটনা! বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ঢাকা শহরটা খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
পথচারীরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছেন না। তারা রাস্তায় নেমে হাঁটছেন। রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপ রয়েছে। এতে দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
এছাড়াও সারাদেশের সড়ক ও মহাসড়কে অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো তো আছেই, চালকরা এক একজন নিজেদের হিরো ভাবা শুরু করেছে, পারলে উড়িয়ে নিয়ে চলে যায় সব, ফলে বাড়বেই দুর্ঘটনা।
খামখেয়ালিপনা, জনসচেতনতার অভাব এবং দায়ী চালকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধান না থাকায় অহরহ ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।
শুধু তাই নয়, সরকারের তো মোটেও দৃষ্টি নেই এইসব দিকে। যে যার মতো চলেছে। সরকার চলছে ক্ষমতার পিছনে। ফলে সবদিকেই বিপদ সাধারণ মানুষের।
প্রতিদিনই যন্ত্রদানবের হত্যার শিকার হয়ে দেশের বহু জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিজীবী, নিষ্পাপ শিশু থেকে বৃদ্ধ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী প্রাণ হারাচ্ছেন। চিরদিনের মত পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে অনেককেই।
সারা দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত—এ আট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৭৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০২ জন প্রাণ হারিয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।
এ সময়ে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার ৩২ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে দায়ী থেকেছে দুই চাকার বাহনটি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মাসিক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বিআরটিএর তথ্য বলছে, চলতি বছরের আট মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ৩ হাজার ৯৪৩টি। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৮ জন।
তবে বেসরকারি সংগঠনগুলোর হিসাবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত, আহতের সংখ্যা আরো বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোটরসাইকেলের সংখ্যা যত বেশি হবে, বাহনটিতে দুর্ঘটনার সংখ্যাও তত বাড়বে এটা দেশে দেশে পরীক্ষিত। বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে চালকদের অসাবধানতা, অসচেতনতা ও বেপরোয়া মনোভাবের কারণে।
মোটরসাইকেল চালকদের বিরাট অংশ কিশোর ও যুবক। তাদের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা এবং না মানার প্রবণতা অনেক বেশি।