ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভের প্রয়োজন কী? এই রাজাকারের দল যা বলবে তা তো অন্তর্বর্তী সরকার মানতে বাধ্য। কারণ সরকারের ভিতরে সরকার তো এরাই চালাচ্ছে। সারা দেশে তাণ্ডব চলছে এদের। জনগণকে নির্যাতন করা যায় যতভাবে কোনোটাতেই ছাড় নেই তাদের।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনসহ জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নানান দাবি নিয়ে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি রাজনৈতিক দল।

তিন দিনের অভিন্ন কর্মসূচি আছে এদের। প্রতিটি দল নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় পৃথকভাবে পালন করবে।

নির্বাচনের আগে কত তালবাহানা তাদের। অবশ্য সরকার বড় দরদী তাদের প্রতি।

জামায়াত ছাড়া অন্য দলগুলো হলো: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাগপা!

আজ, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কর্মসূচির প্রথম দিনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

দাবিগুলোর মধ্যে-

জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন, পিআর পদ্ধতি চালু, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ, ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা ও স্বৈরাচারী শক্তির দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ।

রাজাকারের পরিচয় তাদের দাবিতেই স্পষ্ট। আর আলাদাভাবে কী বুঝতে হবে জনগণের?

বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও ২৬ সেপ্টেম্বর তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে এরা!

জামায়াতের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৫ দফা দাবিতে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।

ইসলামী আন্দোলন এক বিবৃতিতে জানায়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বাদ জোহর ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম!

এদিকে বিকালে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করার কথা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের। বিক্ষোভ মিছিল করবে খেলাফত মজলিস!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *