ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সম্ভাব্য নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে এদেশের মানুষকে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছিলেন।

আবার সেই বাংলাদেশকে স্বাধীনতা বিরোধী মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি রাজাকার আলবদর ইয়া ইয়া খানের বংশধর ২০২৪ এ এসে পাকিস্তান বানাতে চায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি হঠাৎ করেই পাকিস্তান সফরে গেছেন। ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করা সচিবের সফর ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। এই সফরে পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে নাকি নয় দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তান গেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

বিমানবন্দরে নাসিমুল গনিকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব দাউদ মুহাম্মদ বারেচ ও বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সফরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে মাদক ও সন্ত্রাস দমন, প্রশিক্ষণে দুই দেশের পুলিশ একাডেমির পারস্পরিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা বিষয়ে সহাবস্থান নিয়ে আলোচনা হবে।

সফরকালে স্বরাষ্ট্র সচিব পাকিস্তানের বাংলাদেশ হাইকমিশন, ইসলামাবাদ ও বাংলাদেশ মিশন, করাচিতে ই-পাসপোর্ট সার্ভিস উদ্বোধন করবেন।

এছাড়া তিনি পাকিস্তানে বাস্তবায়িত সেইফ সিটি প্রকল্প, পাকিস্তান পুলিশ একাডেমি এবং দেশটির ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিজিআইপি) পরিদর্শন করবেন।

তবে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সফরের গোপন উদ্দেশ্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।

এই সংযোগ দেশের অভ্যন্তরে একটি সমন্বিত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তারা সতর্ক করেছেন যে, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং সাম্প্রতিক এই ঘটনা নতুনভাবে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা নির্দেশ করছে।

পাকিস্তান জঙ্গী দমন করবে? কীভাবে? জঙ্গী সাপ্লায়াররা জঙ্গী দমন করবে?

সম্প্রতি বাইরে থেকে দেখতে আর দশটা সাধারণ প্রক্রিয়াজাত খাবারের টিনের মতোই ছিলো, গায়ে বিদেশি কোম্পানির লেবেল, উৎপাদনের তারিখ সবই ঠিকঠাক।

কিন্তু ভেতরে ছিল বুলেট। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাকিস্তান থেকে আসা একটি ফ্লাইটের যাত্রীদের লাগেজ থেকে উদ্ধার হয়েছে এমনই হাজার হাজার বুলেটের এক ভয়ংকর চালান।

এই ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

আর এর মধ্যেই পাকিস্তান দৌঁড় দিলেন গনি।

প্রতিটি বুলেটের গায়ে “Made in Pakistan” কথাটি খোদাই করা ছিল।

এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখতে নারাজ নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

তাহলে একবার চিন্তা করুন দুই দেশের কী চলছে?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *