শরীয়তপুর: দুর্গাপুজো একেবারে এসে গেছে বললেই চলে। সনাতনীদের সবচেয়ে বড় প্রাণের উৎসব।
এই সময় মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা চরমে। তাঁরা দিনরাত এক করে নিজেদের কাজগুলো সূক্ষ্মভাবে করে চলেছেন। মাকে সাজিয়ে তুলছেন।
কেনাকাটা, প্যান্ডেলের শেষ মুহূর্তের কাজ সবই চলছে একেবারে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে। বিশ্বকর্মা পুজো যেতেই, শুরু হয়ে গেছে ফাইনাল কাউন্টডাউন।
বাংলা বর্ষপঞ্জির আশ্বিন ও কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয় দুর্গা পুজো। মূলত দশ দিনের উৎসব, যার মধ্যে শেষ পাঁচদিন সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে বাংলাদেশে সনাতনীদের মনে শান্তি নেই। প্রতিমা বানানো হচ্ছে, অথচ রক্ষা করা কঠিন। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও মূর্তি ভাঙচুর চলছেই।
এবার শরীয়তপুরে অন্যতম আকর্ষণ ধানে গড়া প্রতিমা। ধানে গড়া দুর্গা মায়ের এই মৃন্মময়ী রূপের মাধ্যমেই যেন ফুটে উঠেছে চিরায়ত বাংলার অপরূপ মুখ!
জয় মা দুর্গা।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় দিনরাত এক করে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। শিল্পীরা ভীষণ ব্যস্ত এখন।
খুব সূক্ষ্মভাবে প্রতিমার গায়ে ধাপে ধাপে এক-এক করে বসানো হচ্ছে সোনালি ধান।
এই ছোট ছোট ধানগুলো প্রতিমার গায়ে বসাতে প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন।
চিরাচরিত রঙের কাজ বাদ দিয়ে আকর্ষণীয় ধানের প্রতিমা তৈরি হচ্ছে শরীয়তপুরের নড়িয়ার ভোজেশ্বর এলাকার ঘোষপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মণ্ডপে।
মৃৎশিল্পীর হাতে এমন কারুকার্যখচিত প্রতিমা এরই মধ্যে নজর কেড়েছে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। ভক্তরা আসছেন প্রতিমা দর্শনের জন্য।
ধান দিয়ে শৈল্পিক কারুকার্যখচিত এমন প্রতিমা এর আগে দেখেননি স্থানীয়রা।
এই প্রতিমা দারুণ আকর্ষণীয় হবে।
২৮ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে জেলায় এই বছর ১০১টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মণ্ডপগুলোর মধ্যে নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষপাড়া শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ ধাম দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা বানানো হচ্ছে সোনালি ধান দিয়ে।
৮ ফুট উচ্চতার প্রতিমাটি গড়তে ধান লাগবে প্রায় এক মণ। প্রতিমাটি গড়া হচ্ছ দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে। দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। সোনালি প্রতিমা।
ঘোষপাড়া শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ ধাম দুর্গা মন্দিরে ৫ জন প্রতিমা শিল্পী নিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন খুলনার পাইকগাছা এলাকা থেকে আসা প্রধান শিল্পী রাজিব সরদার।