ঢাকা: তারা ধর্মীয় বিধান নয় তালেবানী আইন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলা হবে আফগানিস্তান, আর এরা সবাই তালিবান!
কেউ দৌঁড়াচ্ছে আফগানিস্তান, কেউ দৌঁড়াচ্ছে পাকিস্তান! কী সুন্দর! সভ্য দেশ ছেড়ে সব জঙ্গী দেশের সাথে বাংলাদেশের ভাব জমেছে! এখন ভাবের খেলা, সন্ত্রাসের খেলা।
তালিবানি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশ। হাওয়া দেয়া তো শুরু হয়েই গেছে, ফাইনাল টাচ বাকি।
৫০১ মামুনুল হক আফগানিস্তান গিয়েছেন, তালিবানরা তাঁর বড় প্রিয়। তবে এই নিয়ে মৌলবাদীরা খুব হাততালি দিচ্ছে, আল্লাহর সুক্রিয়া আদায় করছে, কারণ তালিবান বলে কথা!
এরা শুধু তালেবান কেন পৃথিবীর যে কোন মুসলিম রাজনৈতিক নেতার সাথে দেখা করতে পারে, কথা বলতে পারে, সম্মাননা নিতে পারে, ছবি তুলতে পারে এতে কোন সমস্যা নেই; কিন্তু পক্ষান্তরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ যদি দেশের বাইরের হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন রাজনৈতিক নেতার সাথে দেখা করে বা ছবি তোলে তবে সে হয়ে যায় ভারতের দালাল।
এমনকি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে অংশগ্রহণ করলেও সে হয়ে যায় ভারতের দালাল। বিচিত্র সেলুকাসের বিচিত্র এই বাংলাদেশ! হিন্দু সম্প্রদায়ের বেলায় ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’।
এই মৌলবাদী পাকিস্তানি গোষ্ঠী যে কতটা নিরপেক্ষ তা তাদের চালচলনে প্রমাণিত!
বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান সফরে গিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হকসহ সাত জন। বুধবার সকালে দেশটির রাজধানী কাবুলে গিয়ে পৌঁছান তারা।
যদিও তার দল দাবি করছে এটি দলীয় কোনো সফর নয়, তবে দলটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সফরের তথ্য জানিয়েছে।
এতে তারা বলছে, ‘ইমারাতে ইসলামিয়া’ বা তালেবান সরকারের আমন্ত্রণে সফরকারী দলটি আফগানিস্তানে গেছে।
কাবুলে তারা তালেবান সরকারের প্রধান বিচারপতি, একাধিক মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।
“বিশেষভাবে মানবাধিকার ও নারী অধিকার বিষয়ে পশ্চিমা মহলে যে সমালোচনা রয়েছে, সে প্রসঙ্গেও তারা বাস্তব অবস্থান সরাসরি পরিদর্শন করবেন” বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দলটি।
মাওলানা মামুনুল হক ছাড়াও এই দলে আরও রয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হামিদ (মধুপুরের পীর), মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী ও মাওলানা মাহবুবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সফরে বাংলাদেশের আলেমদের প্রতিনিধিদল ইমারাত এ ইসলামিয়া (তালেবান) সরকারের প্রধান বিচারপতি, একাধিক মন্ত্রী, শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।
বিশেষভাবে মানবাধিকার ও নারী অধিকার বিষয়ে পশ্চিমা মহলে যে সমালোচনা রয়েছে, সে প্রসঙ্গেও তারা বাস্তব অবস্থান সরাসরি পরিদর্শন করবেন।