ঢাকা: সারা ভারত এবং বাংলাদেশেও স্তব্ধতা নেমে এসেছে। সঙ্গীতজগতে নক্ষত্রপতন!
কে জানতো এত কম বয়সেই যে চলে যাবেন! অসুস্থ ছিলেন বটে, তবে যাবার বয়স হয়নি। মাত্র ৫২ বছর বয়সে চলে গেলেন।
ভারতের অসমের জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ সিঙ্গাপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
নর্থ-ইস্ট উৎসবে অংশ নিতে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন আসামের জনপ্রিয় গায়ক জুবিন। আজকের অনুষ্ঠানে তাঁর পারফর্ম করার কথা ছিল। কিন্তু স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে এবং গুরুতরভাবে আহত হন তিনি।
দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রথম থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল।
জুবিন গার্গ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা। শুধু অসম নয়, বাংলা এবং হিন্দি সিনেমাতেও বহু গান গেয়েছেন। বহু গান জনপ্রিয় হয়েছে।
১৯৯০-এর দশক থেকে তিনি সংগীতজগতে সক্রিয় এবং তাঁর অনন্য কণ্ঠস্বর তাঁকে শ্রোতাদের কাছে আলাদা জায়গা করে দিয়েছে।
হঠাৎ করে তাঁর এমন দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তরা ভেঙে পড়েছেন। ভক্তরা নিতে পারছেন না এমন খবর। আসলে জুবিন গার্গ দরদী মনের ছিলেন। ছিলেন সবার খুব কাছের।
জুবিন গার্গ অত্যন্ত পশুপ্রেমী ছিলেন। তাঁর গুয়াহাটির বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে যেমন গাছপালা রয়েছে, তেমন আছে পশু পাখি। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষটি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দ্রুত আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা শুরু করেছেন হাজারো মানুষ।
১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্ম নেওয়া জুবিন ছিলেন একাধারে গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবনের মোড় পাল্টে যায়।
১৯৯২ সালে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন।
২০০৬ সালে অনুরাগ বসুর ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার ‘ইয়া আলী’ গানে কণ্ঠ দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন জুবিন।