ঢাকা: তালিবানি শাসন চায় বাংলাদেশের মৌলবাদীরা! সেই পথেই এগোচ্ছে দেশ! পোশাক নিয়ে ফতোয়া দেয়া তো বহু আগেই শুরু হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনে শিবির জেতার পর হিজাব হিজাব স্লোগান উঠেছে।

বাঙালি নারীরাও তো কম যান না, তাঁরাও মহানন্দে নৃত্য করছেন। তবে তালিবানি শাসনের ভয়াবহতা সম্পর্কে তাঁদের ধারণা থাকলে তারা বোধহয় এমন করতে পারতেন না।

৫০১ মামুনুল হক গিয়েছেন আফগানিস্তানে। মৌলবাদ-ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আবার ধর্মীয় উগ্রবাদীরা বেশ খুশি ৫০১ কে নিয়ে। তাঁরা গর্বিত। শরীয়া আইন চাই তাদের।

অথচ এইসব উগ্র আইন মহিলাদের জীবন তছনছ করে দিচ্ছে।

বাড়ির বাইরে একা যেতে পারবেন না মহিলারা। পুরুষদের রাখতে হবে লম্বা দাঁড়ি। তালিবানি ফতোয়ার শিকার নারীরা।

ত্রস্ত আফগানরা নারীরা। নারী স্বাধীনতা তো চাঙ্গে উঠেছে।

তালিবান শাসন কত ভয়ংকর, আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়া কোন জীবিত মহিলাকে পুরুষ উদ্ধারকারী উদ্ধার করে না। ভাবুন অবস্থা!? আর এই শাসন চায় বাংলাদেশের জঙ্গীরা!

এবার আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের লেখা বই নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার।

যে নারীর গর্ভে এদের জন্ম সেই নারীকেই এত ঘৃণা পুরুষদের।

এদিকে, বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে মানবাধিকার ও যৌন হয়রানি বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রমকে।

এইসব কিছু পড়ানো যাবে না। কারণ মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই তালিবানি শাসনে।

আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে এরইমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নারীদের লেখা ১৪০টির মতো বই। শরিয়াবিরোধী ও তালেবান নীতির পরিপন্থী হওয়ায় মোট ৬৮০টি বই নিষেধ করেছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ১৮টি বিষয়ে পড়ানোর অনুমতিও কেড়ে নেয়া হয়েছে। এগুলোর সবকটিই নারী বিষয়ক।

চার বছরের শাসনামলে আফগানিস্তানে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত নারীদের শিক্ষা একদম সীমিত করে দিয়েছে তালেবান।

কয়েকদিন আগেই দেশজুড়ে অন্তত ১০ প্রদেশে ওয়াইফাই নিষেধ করে তালেবান প্রশাসন।

যেখানে জঙ্গী, তালিবান সেখানে আনন্দ থাকবে এটা তো কল্পনাও করা যায় না?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *