রাজশাহী: বাংলাদেশে সব পরিবেশ পচে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। সেখানে শৈক্ষিক বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সব।
শিক্ষাঙ্গন হচ্ছে জ্ঞানচর্চা, মানবিকতা ও মুক্তবুদ্ধির বিকাশের কেন্দ্র। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন এই সুচিন্তার জন্য নয়। শিক্ষাঙ্গন দখল করেছে জিহাদি, জঙ্গী, শিবির।
শিক্ষাঙ্গনকে বারবার কলঙ্কিত করেছে জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এর সর্বশেষ প্রমাণ আমরা দেখতে পেলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির মতো একজন সম্মানিত শিক্ষকের ওপর প্রকাশ্যে নির্যাতন চালিয়েছে শিবিরের সন্ত্রাসীরা।
শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা মানে পুরো জাতির মর্যাদায় আঘাত হানা। আগেও এমন হয়েছে, এখনো হচ্ছে।
জামাত-শিবিরের উগ্রপন্থীরা বারবার প্রমাণ করেছে, তারা শিক্ষা, সংস্কৃতি কিংবা সভ্যতার ধারক নয়—বরং তারা ঘৃণা, সহিংসতা আর অরাজকতার বাহক।
এরা শিক্ষাঙ্গনকে রক্তাক্ত রাজনীতির হাতিয়ার বানাতে চায়, তরুণদের মনে ঘৃণা ও সহিংসতার চাষ করে জিহাদি বানাতে চায়।
মূলত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জুবেরী ভবনের বারান্দায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার ধস্তাধস্তি হয়।
এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও জনসংযোগ প্রশাসকসহ প্রায় ১০ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। গায়েও হাত তোলে।
এর আগে দুপুরে আন্দোলনকারীরা উপ-উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন ও প্রক্টর মাহবুবর রহমান সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি।
রাবি শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, “রাকসু নির্বাচনের ঠিক আগে পোষ্য কোটার ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যেই এ কোটা বাদ দিয়ে ভর্তি ও একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। অযৌক্তিক এই কোটা আর ফিরতে দেওয়া যাবে না।”
অন্যদিকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘পোষ্যকোটা বিষয়ে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমাকে বাসায় যেতে বা খেতে দেবে না—এমন আন্দোলন অগ্রহণযোগ্য।’