কাশিমপুর: কাশিমপুর মহিলা কারাগারের অবস্থা শোচনীয়। রাজনীতিক নারী কর্মীদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
প্রতিদিন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন ভুয়া মামলায়। আওয়ামী লীগের অসংখ্য নারী কর্মী অন্যায়ভাবে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি।
গ্রেফতারের পর সব মামলায় জামিন হলেও নতুন নতুন মামলা দেখিয়ে মাসের পর মাস তাদের আটকে রাখা হচ্ছে। স্বৈরাচারী ইউনূস গংয়ের অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
জানা গিয়েছে, এক নারী কর্মী জেল সুপারের সাথে কথা বলতে গেলে তাকে গার্ড ডেকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
নারী বন্দিদের উপর মারাত্মক অত্যাচার চলছে। রাতের অন্ধকারে গার্ড ও অন্যান্য আসামিদের দিয়ে নারী রাজবন্দিদের ওপর চালানো হচ্ছে ভয়াবহ নির্যাতন।
৮/১০ জন নারী কর্মীকে রাজশাহী কারাগারে এবং আরও ৮/১০ জনকে সিলেট কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছেন বেনজির হোসেন নিশি ও তামান্না জেসমিন রিভা।
এখন কোথায় মানবাধিকার কর্মীরা? তাঁরা তো একটা আওয়াজ তুলছেন না?অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে তাঁদের গলার আওয়াজ নেই এখন।
জেল সুপার ও জেলারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠছে।
এই ঘটনায় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোছাঃ কাওয়ালিন নাহার এবং জেলার রিজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে সরাসরি নির্দেশনার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
পরিকল্পিতভাবে কারাগারে এই অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এমনকি পানি সরবরাহ পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, সিনিয়র জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার কারাগারের বাইরে থেকে অতিরিক্ত ফোর্স ডেকে এনে নারী নেত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করান।
জেলার রিজিয়া বেগমের বিরুদ্ধেও বন্দীদের ওপর শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করতেন।