ঢাকা: রাজাকার, পাকিস্তানের রক্ত যাদের শরীরে বহমান, তারা শিবিরের পক্ষই নেবে। দেশদ্রোহীতা ছাড়া এদের দ্বিতীয় কোনো কাজ আছে?
যারা বাংলাদেশ নামক দেশটাই চায়নি, তারাই আজ দেশের শীর্ষ মাথা হয়ে বসে আছে।
ডাকসু নির্বাচন নাকি জাতীয় নির্বাচনের রোল মডেল এটা বলে গেছেন এর আগে আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বোধহয় কানে কালা, চোখে অন্ধ। সব অন্ধকার দেখেন!
এই যদি হয় রোল মডেলের নমুনা তাহলে বোঝাই যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের পরিস্থিতি কি হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জঙ্গীদের দখলে গেছে, ইতিহাস পচে গেছে, দেশটাও যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কি এই পদে থাকার উপযুক্ত? যিনি নিজের দেশ আর পাকিস্তানের পার্থক্য গুলিয়ে ফেলেন?
এইবার রাজাকারের দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আল্লাহর বিশেষ রহমতে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির বিজয় লাভ করেছে। এ বিজয়ে অনেকেই অভিভূত হয়েছেন।
এ নির্বাচনের প্রভাব আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে ইনশাআল্লাহ।
বুঝুন কেমন নির্বাচন হতে চলেছে?
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, যারা আমাদের পছন্দ করেন, ভালোবাসেন এবং আমরা যাদের পছন্দ করি, ভালোবাসি তাদের নিয়েই আমরা আগামী নির্বাচনে তিনশ আসনে নির্বাচন করার আশা করি।
সেই নির্বাচনে বিজয় লাভ করার লক্ষ্যে আর্থিক কুরবানিসহ সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য আমি সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, অনেক আন্দোলন, ত্যাগ-কুরবানির বিনিময়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অনেকে জীবন দিয়েছেন। অনেকে হাত, পা ও চক্ষু হারিয়েছেন। আমাদের সবার ত্যাগ ও কুরবানির বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের এক মহান বিজয় দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে সেই কুরবানির উপযুক্ত প্রতিদান দান করুন- এ দোয়াই করছি।
তিনি আরও বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অনেকে নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন এবং অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে এখনও অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের সুস্থতার জন্য আমরা দোয়া করছি।
আমাদের সবার কুরবানি আল্লাহ কবুল করে আমাদের সবাইকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন।