ঢাকা: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এখনো পালন করতে পারলো না, এর মধ্যেই এই অবস্থা?
আত্মপ্রকাশের মাত্র কয়েক মাসের মাথায় বিলুপ্তির পথে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’।
মূলত এই দলটা হয়েছেই ধান্দাবাজি করে।আর অসৎ উদ্দেশ্যের কোনোকিছু টিকে না, এটাই নিয়ম।
এছাড়া যেদিন এরা গোপালগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুজিববাদ কবর দিতে চেয়েছে সেদিনই তাদের রাজনীতি শেষ! রাজনীতি বড় কথায় চলে না।
দলের আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীঘটিত কেলেঙ্কারি কোনটা অভিযোগ নেই?
দলটি বিলুপ্ত করে এর নেতাকর্মীরা নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মাস কয়েক আগে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ডাক দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল নাহিদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন এনসিপি।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের একটি চক্র গড়ে তোলার অভিযোগও দলটিকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়।
এইসব অভিযোগের ফলে দলের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়। এবং এই দলে যারা আছে, এরা রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে রাজাকারের শাসন জনগণ মেনে নেবে না!
জামাইর প্রভাবে শ্বশুর বিচারপতিও হয়ে গেছে, বাবা হয়ে উঠেছে পালোয়ান- কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি- একের পর এক দুর্নীতি-!
অভ্যন্তরীণ কোন্দল যখন তুঙ্গে, তখনই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিতর্ক থেকে বাঁচতে দল বিলুপ্ত করে ভিন্ন কোনো প্ল্যাটফর্মে যোগ দেওয়ার উপায় খুঁজতে থাকে।