ঢাকা: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি। এই কথা আগেও বলেছিলেন শেখ হাসিনা।

ষড়যন্ত্রের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। তারপর ভারতে আশ্রয় নেন।

বিপ্লবের নাম দিয়ে এক চূড়ান্ত রক্তাক্ত, খুনোখুনি, আগুন ধরিয়ে দেওয়া সহ যাবতীয় অরাজকতার যে শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, ৫ অগাস্ট হাসিনা বিদায়ের পরেও তা চলছে।

এমনকী এখনও অরাজকতার আরেক নাম বাংলাদেশ।

তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বীরের রক্তই তাঁর শরীরে বইছে, তার প্রমাণও দিলেন। এর আগে বলেছেন, ‘আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিইনি।’

এবার ফের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জেরার সময় এমন কথা বলেন তিনি।

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে রোববার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য দেন নাহিদ ইসলাম।

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চলা বিচারে ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে দুই দিন সাক্ষ্য দেন নাহিদ।

জবানবন্দিতে দেওয়া নাহিদ ইসলামের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে দেন আমির হোসেন।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সরকার পতনে ডাকা এক দফা কর্মসূচি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি ছিল।

এ আন্দোলনের পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির হাত ছিল। দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল বিধায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

স্টেট ডিফেন্সের এমন কথায় আপত্তি জানায় প্রসিকিউশন। তাদের মতে, এ মামলায় এমন আলোচনা করার সুযোগ নেই। মামলা সম্পর্কিত কথা বলাই উত্তম।

এ সময় শেখ হাসিনার আইনজীবী বলেন, ড. ইউনূসকে জড়িয়ে কোনো কথা বলা সমীচীন মনে করি না। কিন্তু সাক্ষীর বক্তব্যের খাতিরে বলতে হচ্ছে।

শেখ হাসিনা ও কামালকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার ও মারণাস্ত্র ব্যবহারের কোনো নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা।

মূলত জনগণের জানমাল ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়নি। তাই এই আসামিরা অপরাধের জন্য দায়ী নন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *