‘মার্কিন ডিপস্টেট’ এর ফর্মুলা অনুযায়ী সুদ আদায়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নোবেল লরিয়েট ড.ইউনুসের ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’ এর চক্রান্তে একটি মেরুদন্ড ও ছাত্র-যুব সমাজকে শেষ করার উন্মত্ত নেশায় মেতেছে।

আমরা জাতির মেরুদন্ড হিসেবে যদি শিক্ষা বা শিক্ষাব্যবস্থাকে বলি তাহলে সেই মেরুদন্ড একেবারে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে। ফলে এই সমাজ ও জাতির পক্ষে নতুন করে সঠিক পথ দেখানো ও মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ানো ক্রমেই অসম্ভব হয়ে উঠছে।

দিকভ্রান্ত শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ ক্রমাগতভাবে ঝুঁকে পড়েছে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ইসলামী জঙ্গীবাদ ও সরকার প্রদর্শিত ও প্রযোজিত ‘মব সন্ত্রাসে’ এর দিকে। অনেক অভিভাবক ও সৎ চিন্তার শিক্ষকগণ প্রচন্ড আতংক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।

কে উদ্ধার করবে এই ছাত্র-তরুণ সমাজকে ? বৈষম্যবিরোধীতার নামে এই শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ চরমভাবে প্রতারিত হয়েছে। সেখানে এখন নতুন করে জেঁকে বসছে ইসলামী জঙ্গীরা। সেই সাথে সরকারি আশ্রয়-প্রশ্রয়ে মব সন্ত্রাসকে চরমভাবে উষ্কে দেয়া হয়েছে।

এ চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে নেই কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। নেই ১৯৭১ এর মত দেশপ্রেমিক কোন উন্মাতাল আহ্বান। যে আহ্বানে একাত্তরে অনেকদিনের অন্যায়-শোষন-নিপীড়ন তথা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি স্বাধীন দেশ ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা বা ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছিল।

গত ২০২৪ এর জুলাই-আগষ্টে যে ‘টোপ’ দেখিয়ে বৈষম্যবিরোধী ধুয়াকে কাজে লাগিয়ে চরম নৈরাজ্য-অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করে ‘জঙ্গী-সামরিক ক্যু’ করে একটি নির্বাচিত সরকারকে হটানো হলো তা কি পূরণ হয়েছে কথিত আন্দোলনকারি ছাত্র-তরুণদের ?

এর সোজা উত্তর হলো – না না এবং না। এই প্রতারিত হওয়ার বিষয়গুলো প্রতিদিনই প্রকাশ পাচ্ছে এখন। তবে এই জঙ্গীরা যে নৃশংসভাবে মানুষ মেরেছে, পুলিশ খুন করেছে, থানায় একই দিনে আক্রমণ করেছে, পুড়িয়ে দিয়ে, অস্ত্র গোলাবারুদ লুট করেছে।

মেট্রোরেলে আগুন, বিটিভি ভবনে আগুন, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে হামলা, লুটপাট চুরি করলো তা নিয়ে কিন্তু এই কথিত জুলাই বিপ্লবীদের কোন আফসোস করতে দেখা যায়নি।

কারণ এরা সবাই ছিল মূলত চোর-বাটপার-জঙ্গী সদস্য। কথিত সেই জুলাই বিপ্লবের এক তরুণ জঙ্গীকে বরং মিডিয়ায় বলতে শোনা গেছে- পুলিশ যদি না মারা হতো, যদি মেট্রোরেলে আগুন দেয়া না হতো, থানা-পুলিশকে আক্রমণ ও পুলিশ খুন করা না হতো তাহলে কি এই আন্দোলন সফল হতো ?

তার মানে ভাবুন কেমন শিক্ষার্থী আর তরুণ সমাজের মনন গড়ে উঠেছে ? এটাই ছিল তাদের কথিত মেধার আন্দোলন। মানুষ মেরে, পুলিশকে হত্যার পর উল্টে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখাই যদি বৈষম্যবিরোধী শিক্ষা হয়ে থাকে তাহলে সেই শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ থেকে দেশ কি আশা করতে পারে বলুন !

কিন্তু এসবই করা হয়েছিল সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। তবে সেই কথিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করেছিল জামায়াত-শিবির-হেফাজত।

ফলে সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাদের রাজনৈতিক দল এনসিপি’র ভেতরকার বিরোধ ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অনেক নেতাই নিজেরা সংগঠন-দল থেকে বের হয়ে গেছেন। প্রকাশ্যে বলেছেন- তারা প্রতারিত হয়েছেন।

তবে সুবিধে নিয়েছে তাদের মাথায় যারা কাঁঠাল ভেঙ্গে খেয়েছেন তারা। সেসব নেতারা কোটি কোটি অবৈধ টাকা ছাড়া আর কিছুই চেনেনা এখন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা এনসিপি’র রাজনীতিকে পুঁজি করে সেদিকে আখের গুছিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির।

শিবির আস্তে করে বৈছাআ+এনসিপি থেকে সটকে পড়েছে। তারা তাদের সংগঠনকে ইতিমধ্যে অনেক বেশি গুছিয়ে ফেলেছে। ডাকসু,-জাকসু তার অন্যতম প্রমান। রাকসু এবং চাকসুও এই শিবির দখল করবে এমনটাই ভাবগতি দেখে মনে হচ্ছে।

জামায়াত-শিবিরের ষড়যন্ত্রের ফাঁদ অনেক সুক্ষ্ম। সে জালে ধরা দিয়েছেন অনেকেই। আমরা খেয়াল করলাম, সেই জুলাই আগষ্টের পরেই শিবির তাদের কচি কচি কর্মীদের উস্কানি দিয়ে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষকদের হেনস্তা করলো।

গলায় জুতার মালা পরানো, গাছের সাথে বেঁধে অপদস্ত, মারধর ও জোর পূর্বক পদত্যাগ করানোর ঘটনাগুলো কিন্তু সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়েই করানো হয়েছে কথিত স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদের দালাল ট্যাগ দিয়ে। দেখলো পুরো জাতি চুপচাপ তা মেনে নিয়েছে।

এরপর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হেনস্থা, অপদস্ত ও পদত্যাগ করানো ঘটনাগুলোতেও দেখলো জাতির মেরুদন্ড নেতিয়ে আছে, তখন তাদের সাহস এতোটাই বেড়েছে যার ফলাফল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা ও দাঁড়ি ধরে টানাটানি।

একজন শিক্ষক অপমান বোধ করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। ইতিপূর্বে ঘটনাস্থলে স্ট্রোক করার মতো ঘটনা ঘটার পরেও যখন পুরো জাতির বিবেক শীতনিদ্রায় ছিল, তখন এইসব ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষকতা পেশায় যারা আছেন, তাদের জন্য সামনে আরও খারাপ দিন অপেক্ষা করছে।

গত ১৩ মাসে একটিবারও মহাজন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় ফিরে যেতে বলেননি। উল্টো নানা রকম উস্কানি দিয়েছেন। “সজাগ” থাকার আহবান জানিয়েছেন, কোথায় কোথায় “স্বৈরাচারের দোসর” আছে তা নিজ নিজ এলাকায় খুঁজে মব সন্ত্রাস করার উস্কানি দিয়েছেন।

সচিবালয় থেকে শুরু করে স্থানীয় থানাগুলোতে তাদেরকে বসিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের প্রশ্রয় দিয়েছে। চাকুরীবিমুখ করে সবাইকে উদ্যোক্তা হবার আহবানের আড়ালে অর্থের লোভ দেখিয়ে আদতে পড়াশুনাবিমুখ করেছে কথিত সামাজিক ব্যবসার সুদি ইউনুস।

সবই তিনি করেছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে। মিষ্টি কথার আড়ালে যে ভয়াবহ সর্বনাশ করে চলেছে এই লোক তা সাধারন বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই বুঝবে। পুরো দেশটাকে অস্থিতিশীল করে দিয়ে সামাজ্যবাদী-কুচক্রী-যুদ্ধবাজ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অপ্রকাশযোগ্য চুক্তির আড়ালে যা যা করছে তার কিছু কিছু ইতিমধ্যেই খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মার্কিন সেনার আনাগোনা এখন সাধারণ মানুষের নজর এড়াচ্ছে না।

কথিত মহড়ার নামে এরই মধ্যে তিনবার বিশাল বিশাল সেনা বহরের আগমন মোটেই স্বাভাবিক নয়। বন্দর চলে যাচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘনিষ্ট বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে। এরপরেও নাকি অনেকে বুঝতেই পারছে না, মহাজনের আসল উদ্দেশ্যটা কী! বুঝতে পারছে না দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো।

আর শিক্ষিত এলিট বা সুশীল সমাজ ? তারা কোনদিনও এই দেশের কোন সমস্যায় সঠিক অবস্থান নিতে পারেনি, সকল আমলেই দেশের সকল সুবিধা নেয়া ব্যতীত।

আওয়ামীলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদেরকে ফ্যাসিবাদী হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদেরকে ধরিয়ে দিতে পারলে একক জনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পুরষ্কার মূল্য ঘোষণাটি কত মারাত্মক হতে পারে তা যে কোন সাধারণ নাগরিকই বুঝতে পারবেন।

কারণ এরই মধ্যে সারাদেশে এই ইউনুসীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে ‘ জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে জনপদ প্রকম্পিত করেঝিটিকা মিছিল হচ্ছে। গ্রেপ্তারও হচ্ছে বেশ। কিন্তু তারপরও জয় বাংলা’ থামানো যাচ্ছেনা কোনভাবেই। মুক্তিযুদ্ধের সেই অবিনাশী শ্লোগান ও প্রত্যয়কে ধ্বংস করতে এই মব সন্ত্রাসকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিক-রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান নাসির বেশ ব্যঙ্গাত্মকভাবেই লিখেছেন, ১২ হাজার কোটি টাকা আয়ের সুযোগ!

তিনি বেশ রসিয়ে লিখেছেন- “ কমপক্ষে ১২ হাজার কোটি টাকা আয়ের একটি সুবর্ণ সুযোগ এখন পুলিশের সামনে। তবে সেই সুযোগের পুরোটাই ব্যবহার করতে গেলে বিপদও আছে। তাই কাজটি করতে হবে একটু হিসেব কষে।

রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কোনো মিছিলে সংশ্লিষ্ট কাউকে ধরতে পারলে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এখন এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কীভাবে এত বিপুল অর্থ কামিয়ে নেওয়া যায়, সেই হিসেবে আসা যাক।

সর্বশেষ হালনাগাদ হিসেব অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৬৮ লাখ। ধরে নিতে পারি, এই বয়সের যারা, তারাই মিছিলে যাবার উপযুক্ত। নিষিদ্ধ দলটির সমর্থন অন্তত ৪০% বলে অনুমান করা হয়। সে হিসেবে ওদের সংখ্যা ৫ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার। এই সিদ্ধান্তে সহজেই উপনীত হওয়া যায় যে, নারীরা ঝটিকা মিছিলে যাবে না। তবে অর্ধেক বাদ দিলে দাঁড়ায় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার জন।

এবার আসা যাক টাকার হিসেবে।

একজনকে ধরতে পারলে পাওয়া যাবে ৫ হাজার টাকা। তাহলে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ধরতে পারলে মোট আয় হবে ১২ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। হিসেব খুব পরিষ্কার। বলতে পারেন, যারা মিছিলে যাবে শুধু তাদের ধরার জন্যই এ পুরস্কার। আসলে এটি কোনো ব্যাপার না। মিছিলের মানুষ দেখিয়ে দিলেই হবে।

এ তো গেল সত্যি সত্যিই ওই নিষিদ্ধ দলটির সমর্থক ধরার বিপরীতে আয়ের সুযোগ। কিন্তু চাইলে যে কাউকে ধরে এই চালানে ঢুকিয়ে দিয়েও আয় করা যায়। তবে পুরষ্কার ঘোষিত হলেও দেশের পুলিশ সুযোগটি কতটা গ্রহণ করে, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। সুযোগের পুরোটা কাজে লাগাতে গেলে কেমন বিপদ হতে পারে, তা বলছি এবার।

পুরস্কার ঘোষণার পরেও বেপরোয়া মনে হচ্ছে নিষিদ্ধ দলটির কর্মী-সমর্থকদের। তারা সে ঝটিকা মিছিল করেই যাচ্ছে। ওদের কি ডর-ভয় নেই? জানি না। তবে একজনের মুখে শুনলাম অন্য একটি হিসেব, যা পরিকল্পনার অংশ কিনা বলতে পারব না।

সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া সেই লোকের মতে, বেশি ধরা হলে কারাগারেও নাকি খেলা হবে। কিন্তু কীভাবে খেলা হবে? তার মন্তব্য- তারা আছেন লক্ষ, কোটি। কতজনকে রাখার ব্যবস্থা আছে? কারাগারে ধারণক্ষমতা কত? একই মতাদর্শের লাখ লাখ বন্দি কারাগারে রাখার বিপদ কি নাই?”

এরই মধ্যে গত জুলাই-আগষ্টের জঙ্গী-সামরিক ক্যু এর অন্যতম সহযোদ্ধা পত্রিকা প্রথম আলো পত্রিকায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের অনলাইনে লিখেছে – চট্টগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাড়ি ভাড়া না দিতে পুলিশের মাইকিং। এই সংবাদে বলা হয়- চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া না দেওয়ার জন্য থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে কর্ণফুলী থানার পক্ষ থেকে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় এই মাইকিং করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ধরনের একটি ছড়িয়ে পড়েছে।
১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসে একটি কাগজ দেখে দেখে মাইকিং করছিলেন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আসসালামু আলাইকুম, সকল বাড়ির মালিককে জানানো যাচ্ছে, কর্ণফুলী থানা এলাকায় নতুন কেউ ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে, সেই ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থানায় জমা দিতে হবে।

কোনো নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়; তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।’

মাইকিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি। এটি অবশ্য ওই পুলিশ অফিসারের পিঠ বাঁচানো বক্তব্য তা যেকোন শিশুও বুঝবে।

ওই যে প্রথমেই বলেছিলাম-শিক্ষা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারুণ্যের শক্তিকে ধ্বংস করে দিয়েছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত চক্রান্ত করে। এ বিষয়ে যদি এখন থেকেই সম্মিলিত প্রতিরোধ করা না যায় তাহলে এ জাতির ভবিষ্যৎ যে ঘোর অন্ধকার তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে এই বঙ্গীয় জনপদের ইতিহাস বলে- এখানে অন্যায় বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনা। এই মাটিতেই মাষ্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতাসহ অসংখ্য বিপ্লবীর জন্ম হয়েছে। তাদের দীক্ষা কখনো বৃথা যেতে পারেনা।

# নুরুল ইসলাম আনসারি, লেখক, প্রাবন্ধিক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *