ঝিনাইদহ: ‘পঞ্জিকা দেখতে হয় না, আমরা প্রতিমা ভাঙচুর শুরু হলেই বুঝে যাই দুর্গা পূজা এসেছে’! এত হতাশা, দুঃখ আর কোথায় আছে? বাংলাদেশের সনাতনীরা কেমন আছে এই একটি বাক্যে স্পষ্ট।

সনাতনী ধ্বংসের নীলনকশা চলছে। রাতের অন্ধকারে অবৈধ অস্ত্র ও ছুরি নিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর নৃশংস হামলা চালানো হচ্ছে।

নিরপরাধ মানুষ আহত হলেও, হামলাকারীদের আটক করে থানায় দিলে পুলিশ প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে তাদের ছেড়ে দিচ্ছে।

উগ্রবাদীদের প্রত্যক্ষ মদদ দিয়ে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, জমি জোরপূর্বক দখল করা চলছে।

এবার ফের মূর্তি ভাঙচুর হলো। আর‌ কত?

গাজীপুরে ধরা পড়ল জঙ্গী হাবিব, এরপর সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহে একই ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট সব।

দাঁড়িওয়ালা অপরাধী মাঝরাতে এসে ভাঙচুর করছে প্রতিমা! ফুটেজ না থাকলে বরাবরের মতোই হিন্দুদের ওপর দোষ চাপানো হতো।

পুজো শুরু হবে তিন চারদিন বাকি আছে।‌এর মধ্যে বহু জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। উগ্র মুসলমানরা ভেঙে রেখে যাচ্ছে প্রতিমা।

১০টিরও বেশি জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। তবু তথাকথিত নেতারা চুপ… কারণ তারা আগেই বিক্রি করেছেন নৈতিকতা।

ঝিনাইদহে দুর্গামন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারে কী‌ আসে যায়?

আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভোররাত ৪টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের ফুলহরি হরিতলা সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মন্দিরের মোট ৬টি প্রতিমার মাথা এবং ৪টি প্রতিমার গলা ভেঙে ফেলা হয়। ভাঙচুর হওয়া প্রতিমার মধ্যে কার্তিক, রাম, লক্ষ্মণ, অসুর ও রাক্ষসের মাথা এবং সরস্বতী, গণেশ, অসুর ও রাক্ষসের গলা রয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় বাসিন্দা মনজের আলী (৫৬)-কে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে পুলিশ গ্রেফতার করে।

সে নাকি মানসিক প্রতিবন্ধী। তা মানসিক প্রতিবন্ধীরা মূর্তিই কেন ভাঙতে যায়? কোনো হিন্দু মানসিক প্রতিবন্ধী তো মসজিদে আক্রমণ করতে যায় না? কবে শেষ হবে এই নাটক?

মন্দির কমিটি জানায়, স্বেচ্ছাসেবকরা ভোর ৪টা পর্যন্ত পাহারায় থাকলেও পরবর্তীতে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ১০টার দিকে তারা প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *