ঢাকা: সব ইউনূসের কারসাজি। তিনি চেয়ারে বসেই জাদু দেখাতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশে যেভাবে জঙ্গী উত্থান হয়েছে, আর বাংলাদেশিরা প্রবাসে গিয়ে যেসব জঙ্গী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে তাতে করে দেশের পাসপোর্ট দুর্বল হবারই কথা।

এই ১ বছরে অনেক দেশ বাংলাদেশের জন্য ভিসা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। নতুন করে ভিসা বন্ধ করেছে আরব আমিরাত!

এটাই ইউনুস ম্যাজিক! বাইরে যেতে দেবেনা, দেশেও শান্তিতে থাকতে দেবেনা। ভ্রমণ এখন চিন্তার বাইরে বাংলাদেশিদের জন্য। ভিসা জটিলতায় পড়ার অভিজ্ঞতা সবার আছে।

এর আগে নাদির জানান, গত এক বছরে ১৭টি দেশে তিনি ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, যার মধ্যে ৭টি দেশই ভিসা দেয়নি। এমনকি যেসব দেশ আগেও তাকে ভিসা দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৩টি দেশ এবার তাঁকে রিজেক্ট করেছে।

এক ফেসবুক পোস্টে নাদির বলেন, “আমি ইউটিউবে একটা নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছি। যেখানে বলেছি, গত এক বছরে বিভিন্ন দেশের ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে গিয়ে আমার কী কী সমস্যা হয়েছে। এই সময়ে আমি ১৭টি দেশের ভিসার জন্য আবেদন করেছি।

এর মধ্যে ৭টি দেশ ভিসা দেয়নি। মজার ব্যাপার হলো, যেসব দেশ আগেও আমাকে ভিসা দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৩টি দেশ এবার আমাকে রিজেক্ট করেছে। এটা দেখায় যে, অবস্থাটা আগের চেয়ে খারাপ হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “পুরো ভিডিওতে আমি বলেছি কেন আমাদের পাসপোর্ট দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, আর কেন ভিসা পাওয়া এত কঠিন হয়ে পড়ছে।”

অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ, সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়া ও অবৈধ পথে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ, দেশে জঙ্গী চাষসহ নানা কারণে যথাযথ আবেদনের পরও কয়েকটি দেশ থেকে ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশীরা। আর যারা পাচ্ছেন, তাদেরও নানা ধরনের প্রশ্ন ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বেড়েছে। ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার হারও বেড়ে গেছে।

বিদেশে নিয়মিত ভ্রমণ করেন এবং পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ করে ভিসা জটিলতা দেখা দিয়েছে। গত এক বছরে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বেশ বেড়েছে বলেও জানান তারা।

বাংলাদেশিদের জন্য যেসব দেশের ভিসা সবচেয়ে বেশি প্রত্যাখ্যান করা হয়, তার মধ্যে আছে—সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মিসরসহ অনেক দেশ।

এদিকে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে সব ধরনের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেশ কিছু দিন বন্ধ রাখার পর শুধু চিকিৎসা এবং ডাবল এন্ট্রি ভিসা সীমিত আকারে চালু করা হয়। এখনও শুধু এই দুই ক্যাটাগরির ভিসাই চালু আছে। তবে সম্প্রতি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কিছু অতিরিক্ত ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।

বাংলাদেশে ভারতবিরোধীরা কী কাণ্ড করছে, তার প্রতি তো সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে ভারত। ফলে ভিসা বন্ধ করাই স্বাভাবিক।

এদিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, ভারতের ভিসা বন্ধ করার প্রভাব পড়েছে ইউরোপের অনেক দেশে।

ঢাকায় ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস নেই। এসব দেশের ভিসা ইস্যু করা হয় দিল্লিতে অবস্থিত ওইসব দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে।

সশরীরে সেসব দেশের দূতাবাসে ইন্টারভিউ দিতে হয়। আর সেজন্য দরকার পড়ে ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা। আবার উচ্চশিক্ষায় ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু দেশের দূতাবাসে একাধিকবার ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

সেক্ষেত্রে আবেদনকারী ভিসার জন্য বেশ কিছু দিন ভারতেই অবস্থান করতে হয়।

এবং বাংলাদেশের জনগণ নিশ্চয়ই জানেন, পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের ভিসা ঢাকা থেকে ইস্যু করা হলেও পূর্ব ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের ভিসা দিল্লি থেকে নিতে হয়।

ফলে এখন বাংলাদেশ আচ্ছামতো ভারত বিরোধিতার ফল ভোগ করছে।

বেলজিয়ামের ভিসা আগে ঢাকার সুইডেন দূতাবাস থেকে ইস্যু করা হলেও গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে তা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত বেলজিয়ামের ভিসা ইস্যু হবে দিল্লি থেকে এবং সেখানকার ভিএফএসে সশরীরে কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

৫ আগস্টের পর তো পাকিস্তান, আফগানিস্তান আপন হয়েছে বাংলাদেশের, তাই এখন ঐ দুই দেশ ভ্রমণ করেই সুখ নিতে পারেন একাত্তর বিরোধীরা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *