ঢাকা: গণতন্ত্রকে যিনি চিবিয়ে খেয়েছেন, সেই ইউনূসের মুখেই আবার গণতন্ত্রের কথা শোনা যায়।
ইউনূসের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে মনে হয় ভূতের মুখে রাম নাম।
বাংলাদেশের শান্তি-সমৃদ্ধি বিনষ্টে মরণ কামড় বসিয়েছে ইউনূস গংয়ের কালো শক্তি। দেশে বর্তমান ক্ষমতা দখলদারদের সরকার হিসেবে মানতে নারাজ জনতা।
একে তো এই সরকার অবৈধ-অসাংবিধানিক, তার উপর ক্ষমতা নিয়েই এরা দুর্নীতি-লুটপাট, ধর্ষণ ও মব-সন্ত্রাস করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি কায়েম করেছে।
ইউনূস গংয়ের নিয়োগকর্তাদের অত্যাচারে সবচেয়ে বেশি অসহায় গরিব-মধ্যবিত্তরা। পেটে খাবারের জোগান নেই, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিলীনের পথে আর এদেশে যারা দুর্বল তাদের মা-বোন সহ শিশুদের পর্যন্ত সম্ভ্রমহানি হচ্ছে নির্ভয়েই।
ইউনূসের সরকার যেন বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষদের এভাবেই নিপীড়ন করতে উদয় হয়েছে জুলাই দাঙ্গার মাধ্যমে।
ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংয়ের গত এক বছরের কার্যকলাপে নির্বাচন দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার বিন্দু মাত্র উদ্দেশ্য পরিলক্ষিত হয়নি, বরং এদের মনে ছিলো একাত্তরকে বিতর্কিত করার শয়তানি এবং দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করে তোলা।
এই উপদেষ্টা নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের রোষের মুখে পড়ে পালিয়ে বাঁচেন। যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই জনগণের ক্ষোভ উগড়ে পড়ছে।
এইদিকে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্কে প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগো বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার সাক্ষাৎকালে দুই নেতা বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে চলমান সংস্কার কার্যক্রম, ক্রীড়া ও অলিম্পিকে সামাজিক ব্যবসার সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক শরণার্থী সঙ্কট—বিশেষ করে রোহিঙ্গা মানবিক সংকট সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
এ সময়ে বড় গলায় ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী সাধারণ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এটি শুধু একটি নির্বাচন নয়, এটি দেশের গণতন্ত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি ভিত্তিমূলক ঘটনা হবে, যা দেশের গণতন্ত্রকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নেবে।’
আরে বাপরে বাপ! কী অদ্ভুত শোনায় কথাগুলো!