ঢাকা: মির্জা ফখরুল সাধু সাজছেন। তিনি দেখাচ্ছেন বিএনপি সবসময় ভালো কাজ করেছে। অথচ কী করেছে বা করছে সেটা জনগণ জানে।
মব, ভায়োলেন্স, খুন এই কাজগুলো বিএনপি নেতা কর্মীরাদের শেল্টারেই হচ্ছে তা না হলে কারো সাহস হতো না একটা গাছের পাতার গায়ে হাত দেওয়া।
বিএনপি জামায়াতের শাসন আমল(২০০১ থেকে ২০০৬) এ সরকারি দলের এমপি মন্ত্রীদের মদদে সারা বাংলাদেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করে জঙ্গিরা।
মুছে যায় বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
আমরা কি আবার সেই দুঃশাসনে ফিরে যেতে চাই? অবশ্যই না।
অথচ কিছুই জানেন না ফখরুল। তিনি কি আসলে ভয় পাচ্ছেন?
এই মব ভায়োলেন্স সিস্টেমে বেশি বিএনপি জামাত শিবিরের দলের নেতাকর্মীদের ব্যবহার করছে এই ইউনুস গং। অথচ এই বিষয়ে কোনো কথা বলছেন না তিনি!
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে মব ভায়োলেন্স। কারও বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, ফ্যাক্টরি পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা এখন পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে। এটা আগে ছিল না।”
আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, “১৫ বছরের বিভাজনের রাজনীতি মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করেছে। এখন সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে আস্থা ফিরিয়ে আনা। রাজনৈতিক দল, নেতা, প্রতিষ্ঠান—সবার প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি করাই বড় চ্যালেঞ্জ।”
অথচ একবারো প্রধান উপদেষ্টার অপরাধ তুলে ধরলেন না। যে নিউইয়র্কে ইউনূসের সাথে গিয়ে তাদের কেমন হেনস্থা হতে হয়েছে, বিএনপির ভাবমূর্তি আর কিছু আছে এই ঘটনার পর?
উল্টো ইউনূসের প্রশংসা করেন তিনি। পা চাটার তো একটা সীমা আছে, বিএনপি সেই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টাও নির্বাচনের পক্ষে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল, যা সবাইকে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে।
সম্প্রতি নিউয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা দৈনিক ‘ঠিকানা’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন হবে। সেনাবাহিনী, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলো সবাই জানে নির্বাচন সামনে। তবে মানুষের মধ্যে যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, সেটি দূর করতে হবে। বিশ্বাস স্থাপন করেই সামনে এগোতে হবে।”
তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও নির্বাচনের বিষয়ে তার দৃঢ় অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।