ঢাকা: এই টোকাইরা সব জায়গায় নিষিদ্ধ হচ্ছে। জঙ্গী জেহাদিদের কারুকার্য এখন প্রকাশ্যে।

হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখিয়ে দিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি পুলিশ।

ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত, Keep an eye on the North, gone too quiet, too fast. অর্থাৎ উত্তরের দিকে নজর রাখতে। মানে ক্যান্টনমেন্টের দিকে নজর রাখতে।

এমন কী ঘটলো হঠাৎ?

বর্তমানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান দেশে নেই। এইদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অন্যতম সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে ঢাকা সেনানিবাসে প্রবেশ করতে দেয়নি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি পুলিশ।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি মিরপুর গেট দিয়ে সেনানিবাসে প্রবেশের চেষ্টা করেন, তবে তাঁকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এটা তো মামার বাড়ির সম্পত্তি নয়, হাসনাত হয়তো নিজেদের মামা ভেবে বসেছিলেন!

দায়িত্বরত প্রহরীরা হাসনাতকে আটকে দেন। শহরের অন্যতম সুরক্ষিত এই এলাকায় তার প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। তাছাড়া সুরক্ষিত জায়গায় তাঁর প্রয়োজন কী? তিনি সেখানে গিয়ে কী করতেন?

জানা যাচ্ছে, মিলিটারি পুলিশের সদস্যরা তাকে সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশে বাধা দিলে সেখানে তর্কাতর্কি হয়।

নাছোড়বান্দা ছিলেন তিনি। এরপর গায়ের জোর খাটিয়ে (যেমন তাঁর অঙ্গভঙ্গি) হাসনাত আবদুল্লাহ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে কল করেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কোনোভাবেই এই টোকাইকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

সেনাবাহিনী আব্দুল্লাহ ও এনসিপির উপর ক্ষুব্ধ। সেনাবাহিনী এইবার তাদের সঠিক বার্তা দিয়ে দিলো।

আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পেজে দাবি করেছিলেন, সেনানিবাসের ভেতরে সেনাবাহিনী প্রধানের সরকারি বাসভবনে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে ছাত্রনেতা সার্জিস আলমসহ তার একটি বৈঠক হয়েছিল।

ফেসবুক পোস্টে আরও দাবি করা হয়, সেখানে সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন এবং শেখ তাপসের মতো নেতাদের নিয়ে একটি “পরিশোধিত আওয়ামী লীগ” গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *