ঢাকা: মাথা থেকে মাদ্রাসা সরাতে পারে না, আধুনিক, বৈষম্যহীন চিন্তাধারা গ্রহণ করতে পারে না, এরা নাকি দেশসেবা করবে?
এশিয়া সোসাইটির সভাপতি এক মহিলার সাথে হাত মেলাননি আখতার হোসেন, এনসিপির সদস্যসচিব। মহিলা সম্মানের সাথে হাত বাড়ানোর পরও আখতার হাত গুটিয়ে রাখেন।
কিন্তু কেন? যস্মিন দেশে যদাচার- এই প্রবাদের অর্থ জানেন আখতার? নাকি প্রবাদটাই কোনোদিন শোনেননি?
একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া রাজনীতিবিদ কি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গিয়ে এমন অসভ্যের মতো করতে পারেন?
আখতারের আচরণে কি ছিল? শ্রেণিঘৃণা! নারীর প্রতি বিদ্বেষ! অন্য ধর্মের প্রতি অসম্মান! অগ্রগতিমূলক কাজে অনীহা?
এরা যে কী ভীষণ প্রতিক্রিয়াশীল, এটা বুঝতে এত দেরি হওয়ার কথা না কারো।
এশিয়া সোসাইটির সভাপতি হাত বাড়ানোর পরও আকতার হাত গুটিয়ে রাখেন! মাথা থেকে মাদ্রাসা ঝেড়ে ফেলতে পারেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার পরও মাদ্রাসা মাথায় নিয়েই ঘুরছেন। এরা করবে গণমানুষের রাজনীতি? যাদের মনের মধ্যে ঘৃণায় ভরা।
পরনারীর সাথে হাত মেলাবেন না, যদি এটিই হয়, তাহলে এনসিপির তাসনিম জারাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন তিনি? উনি কি আখতারের জন্যে ‘পরনারী’ নন?
এদের দ্বিচারিতার নমুনা।
আখতারের এই ঘটনায় পশ্চিমা দুনিয়া জানবে জুলাইয়ে বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিপ্লব হয়েছে।
এদিকে ভারতের নিন্দা গাইছেন ইউনূস!? জঙ্গী বিপ্লবকে ভারত ভালোভাবে নেয়নি বলে তাঁর অনেক ক্ষোভ! নেবেই কেন? ভারত কোনো জঙ্গী জেহাদিকে প্রশ্রয় দেয় না।