ঢাকা: রাজাকার, হিন্দু বিদ্বেষী, প্রতিমা ভাঙচুরকারীরা কী সুন্দর দাঁড়িয়ে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
এদের মুখে মধু, অন্তরে বিষ। সেই বিষ উগড়ে দিচ্ছে ভিতরে ভিতরে।
জামাত ইসলামি,বা ইসলামি ছাত্রশিবির ভিন্ন ধর্ম বিদ্বেষী তা তো আমরা জানি। তাই অযথা অসাম্প্রদায়িক মনোভাব দেখিয়ে গুনাহ্ কামাচ্ছেন কেন এরা?
মানুষের প্রতি মানুষের দরদেও তো এদের গুনাহ্, আগে দেখে নেবেন আদৌ মুসলমান কিনা!
যে জামায়াত ইসলামি মনে করে মূর্তি পূজা হারাম,তারা মূর্তি পূজার বিরোধিতা করবে, মূর্তি ভাঙবে এটাই এদের কালচার। কিন্তু ভণ্ডামিটা হচ্ছে জামায়াতের নেতারা নিজেকে অসাম্প্রদায়িক হিসাবে প্রচার চালায়!
আবার ঢাকায় গিয়ে ইসলামী শরিয়া আইন চায়।
জামায়াত ইসলামি কাজে কর্মে সাম্প্রদায়িক।
সনাতনীরাও বলছে, যদি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান তা হলে দেবী দুর্গার প্রতি পূর্ণ সম্মান এবং সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখে দুর্গা পূজা জানানোর অনুরোধ রইল। নয়তো আমাদের দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানানোর দরকার নাই।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান হিন্দু সম্প্রদায়কে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শুক্রবার দেওয়া একটি বিবৃতি এমন তথ্য জানিয়েছেন জামায়াত আমির ড. শফিকুর রহমান।
মিথ্যার ফুলঝুড়ি এদের।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল পর্ব শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। এমন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নজির তামাম দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল”।
‘শারদীয় দুর্গোৎসব আমাদের জাতীয় জীবনে সহনশীলতা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করুক। আমি হিন্দু সম্প্রদায়সহ বাংলাদেশের সকল জাতিগোষ্ঠীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। পারস্পরিক ভালোবাসা, সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখতে হবে’-উল্লেখ করেন জামায়াত আমির।